‘অপারেশন সিন্দুর’ বিতর্কে অস্বস্তিতে বিজেপি, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
‘অপারেশন সিন্দুর’–এর পর ভারতের রাজনীতি যখন উত্তপ্ত, তখন ক্ষমতাসীন বিজেপির একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এ অবস্থায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রোববার (২৫ মে) এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি দলের নেতাদের ‘মুখে লাগাম টানার’ পরামর্শ দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে মোদি বলেন, “যে কোনো বিষয়েই, যে কোনো জায়গায় মন্তব্য করা যাবে না। এমন মন্তব্য সরকারের ভাবমূর্তিতে আঘাত হানে।”
সূত্রমতে, শুধু মোদিও নন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও এ ধরনের মন্তব্যে বিরক্ত। ফলে মোদির এই বার্তাকে দলের জন্য কড়া সতর্কতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
গত শনিবার পেহেলগাম হামলা নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র জাংরা। তিনি বলেন, “পেহেলগামে নারী পর্যটকদের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত ছিল। তারা যদি তা করতেন, তাহলে হতাহতের সংখ্যা কম হতো।”
এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলগুলোও কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়।
এছাড়া কয়েক দিন আগে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ ভারতীয় সেনার নারী কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশির বিরুদ্ধে কটূক্তি করে বলেন, “তিনি সন্ত্রাসবাদীদের বোন।” এই মন্তব্যের পর ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়ে বিজয় শাহ প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।
তবে বিতর্ক থামেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ইতিমধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিজেপি সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি মনে করেন, সামরিক অপারেশন বা নিরাপত্তা ইস্যুতে দায়িত্বহীন মন্তব্য দলের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এসব থেকে বিরত থাকা জরুরি। এমন মন্তব্যগুলো না শুধু বিতর্ক উসকে দেয়, বরং সরকারের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।