আগামী বছর থেকে কোরবানির পশুর হাটে হাসিল ৩ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে

কোরবানির হাটে স্বস্তির খবর: হাসিল কমে হচ্ছে ৩ শতাংশ
আগামী বছর থেকে কোরবানির পশুর হাটে হাসিল ৩ শতাংশের বেশি নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “এ বছর ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় হবে, তবে আগামী বছর থেকে এই হার কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।”
রোববার (২৫ মে) সচিবালয়ে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়া ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, আসন্ন ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ২০টি কোরবানির হাট বসানো হবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ—প্রতিটি অংশে ১০টি করে হাট থাকবে। হাটগুলো মহাসড়ক থেকে দূরে স্থাপন করা হবে, যাতে যানজট না হয়। পাশাপাশি অবৈধ হাট স্থাপন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, অনুমোদিত সব হাটে সিসি ক্যামেরা থাকবে এবং আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। অবৈধ বা অননুমোদিত স্থানে কোনো হাট বসতে দেওয়া হবে না।
চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতে একটি চামড়া দুই হাজার টাকায় বিক্রি হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই দাম অনেক কমে গেছে। এবার গরুর চামড়া ১২০০ টাকায় বিক্রি হলে সেটাই হবে ন্যায্য মূল্য। এছাড়া চামড়া যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য জেলা ও থানা পর্যায়ে বিনামূল্যে লবণ বিতরণ করা হবে। চামড়া রপ্তানির অনুমতিও এবার আগেভাগেই দেওয়া হয়েছে।
গাবতলীসহ অন্যান্য কোরবানির হাট ইতিমধ্যেই ইজারা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রশাসক এজাজ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আসন্ন ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সরকারি চাকরি আইনটি ২০১৮ সালে তৎকালীন সরকার সংশোধন করেছিল। বর্তমানে সংশোধনী অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারব না, তবে সময় ও পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।”