চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, ভাইরাল ভিডিওর মুল ঘটনা

চলন্ত ট্রেন থেকে এক ব্যক্তিকে ফেলে দেওয়ার একটি ভয়াবহ ঘটনা ও তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলে আছেন একজন ব্যক্তি, আর ভেতর থেকে কেউ তাঁর হাত ধরে আছেন। একপর্যায়ে হাত ছেড়ে দিলে তিনি রেললাইনে পড়ে যান।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার দুপুর একটার দিকে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর রেলস্টেশন এলাকায়। আহত ওই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান (৫২), তিনি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন আদম ব্যবসায়ী।
বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মতিউরের মাধ্যমে দুই বছর আগে সজীব নামের এক যুবক সৌদি আরবে যান। তবে কাগজপত্রে জটিলতার কারণে সজীব ইকামা (কাজের অনুমতিপত্র) পাননি। এতে মতিউরের সঙ্গে সজীবের পরিবারের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
মতিউরের ছেলে আহসান হাবিব অভিযোগ করে বলেন, “বাবা দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসে করে সান্তাহারে যাচ্ছিলেন। পথে ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাঁকে মারধর করেন এবং চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে ফেলে দেন। ভাগ্যক্রমে ট্রেনের চাকা তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে যায়নি, তবে একটি পা ভেঙে গেছে।”
তিনি আরও জানান, বাবাকে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে বগুড়ার একটি ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়। তবে ঘটনার পর পুলিশ কোনো মামলা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন আহসান।
আহসান হাবিব জানান, আদমদীঘি থানায় গেলে পুলিশ তাঁদের সান্তাহার জিআরপি স্টেশনে পাঠায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও মামলা গ্রহণ করা হয়নি।
ঘটনায় অভিযুক্ত সৌদি প্রবাসী সজীবের চাচা জাহাঙ্গীর আলম জানান, “মতিউর আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সৌদিতে পাঠিয়ে ইকামা পাইয়ে দেওয়ার কথা বললেও এখনো দেননি। তবে ট্রেনে হামলা ও ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের জিআরপি পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, “ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও আমরা দেখেছি। তবে এখনো কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”