মানবতাবিরোধী অপরাধে চার্জশিট হলেই নির্বাচনে অযোগ্যতা, একমত জামায়াত

মানবতাবিরোধী অপরাধে কেউ যদি চার্জশিটভুক্ত আসামি হন, তাহলে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার (১৭ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন-এর সঙ্গে এক বৈঠকে এ অবস্থান জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
তিনি বলেন, "সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তি যদি ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধ ভিন্ন মাত্রার। এ ধরনের অপরাধে চার্জশিট হলেই নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হওয়ার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।"
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র দোষী সাব্যস্ত হলেই কেউ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। তবে কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় চার্জশিট পর্যায়ে অযোগ্যতা আরোপ করাই যুক্তিযুক্ত—এই ব্যাখ্যায় একমত হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যায় তাহের বলেন: “আমরা প্রস্তাব করেছিলাম দোষী সাব্যস্ত হলেই অযোগ্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু তারা বলেছেন, এতে বিচার দীর্ঘায়িত হবে। তাই চার্জশিটকেই আমলে নেওয়ার যুক্তি আমরা গ্রহণ করেছি।”
সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কাল নিয়েও আলোচনা হয়। তাহের বলেন, “এটা কোনো দীর্ঘমেয়াদি সরকার নয়। তবে যেহেতু সংস্কারের কথা এসেছে, তাই কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে। এরপর দ্রুত নির্বাচনই সবচেয়ে ভালো সমাধান।”
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের এক মাসব্যাপী আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে বর্তমান সরকার। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী, এমপি ও নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরু হয়েছে।