চার দফা দাবিতে রাজধানীতে উত্তেজনা, আন্দোলন সাময়িক স্থগিত

দিনব্যাপী চলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের আলোচনা ও উত্তেজনা
চার দফা দাবিতে সারাদিন ধরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পর চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাদের আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। দাবি পূরণের মৌখিক আশ্বাস এবং গ্রেফতার হওয়া নেতার মুক্তির প্রতিশ্রুতির পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা আসে।
রবিবার সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন ‘বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্ল্যাটফর্ম (বিসিপি)’-এর ব্যানারে আন্দোলনরত সাবেক সেনাসদস্যরা। দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়। তবে বিকালের আলোচনায় কোনও লিখিত সিদ্ধান্ত না আসায় আন্দোলনকারীরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানায়।
সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফা বৈঠকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাকরিচ্যুত সৈনিক মো. নাইমুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস এবং বাকি দাবিগুলো বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলনকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করেন। যদিও তারা জানিয়েছেন, লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা ঢাকায় অবস্থান করবেন এবং ১৯ মে’র মধ্যে আশ্বাস বাস্তবায়িত না হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে সাবেক সেনা সদস্য মো. কামরুজ্জামান বলেন: "আমাদের দাবি চারটি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের চাকরির মেয়াদ ১০ বছরের নিচে, তাদের পুনর্বহাল এবং অন্যদের পেনশনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে। নাইমুলের মুক্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, আগামীকাল এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
তিনি আরও বলেন, "এই আন্দোলন রাজনৈতিক নয়, আমরা সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে দাবি মানা না হলে আন্দোলনে ফিরব।"
১. চাকরিচ্যুত হওয়ার সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পূনর্বহাল করতে হবে।
২. যাদের চাকরি পূনর্বহাল সম্ভব নয়, তাদের সরকারি সব সুবিধাসহ পূর্ণ পেনশনের আওতায় আনতে হবে।
৩. যেই আইন কাঠামো ও একতরফা বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, সেই বিচার প্রক্রিয়া ও সংবিধানের ৪৫ অনুচ্ছেদ সংস্কার করতে হবে।
৪. গ্রেফতার হওয়া মুখ্য সমন্বয়ক মো. নাইমুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।