৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকার ঋণচুক্তি সই, বাস্তবায়ন হবে ২০২৫–২০৩০ সালে

বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ১২১ টাকা ৬০ পয়সা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন।
ইআরডির সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় গত আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, বাঁধ পুনর্নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্রকল্পটি পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনস্থ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) (কৃষি মন্ত্রণালয়), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) (স্থানীয় সরকার বিভাগ), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) (আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ)
এই ঋণ প্রদান করবে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)। চুক্তি অনুযায়ী, এই অর্থ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। ঋণের ওপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ ও ১.২৫ শতাংশ সুদ প্রযোজ্য হবে। তবে উত্তোলন না করা অর্থের ওপর সর্বোচ্চ বার্ষিক ০.৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি নির্ধারিত হলেও বর্তমানে বিশ্বব্যাংক এই ফি মওকুফ করে আসছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশে ৪৩.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমানে ৪৭টি চলমান প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১৩.১০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পগুলোর আওতায় রয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো নির্মাণ এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়ন।