বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের ওপর চাপ বাড়ার মধ্যেই বিক্ষোভ

সরকারি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একটি নতুন অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভের মধ্যে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বেতন বাড়ানোর দাবিতে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক শৃঙ্খলার নামে সরকারি কর্মচারীদের দ্রুত বরখাস্তের সুযোগ রেখে সরকার যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, সেটিকে ‘দমনমূলক’ আখ্যা দিয়ে কর্মচারীরা এর প্রত্যাহার দাবি করছেন।
এর আগে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দিয়ে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তও সরকারকে প্রত্যাহার করতে হয় আন্দোলনের মুখে।
দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে এমন সময়ে এই অসন্তোষ দেখা দিল। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন বিভিন্ন দিক থেকে চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করছেন না। তিনি বলেন, “আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোথাও যাচ্ছি না।”
অধ্যাপক ইউনূস ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচনের সময়সূচির কথা বললেও বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট চায়।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সম্প্রতি ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।