বিএনপির দাবি: ‘বিতর্কিত’ তিন উপদেষ্টার অপসারণ

সরকারের সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপি তিনজন ‘বিতর্কিত’ উপদেষ্টার অপসারণের দাবি জানিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি লিখিত আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২৪ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

বিতর্কিত কারা?

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছি, আগেও জানিয়েছি।” তিনি বলেন, বিতর্কিত তিন উপদেষ্টা হলেন— একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা, এবং দুইজন ছাত্র উপদেষ্টা।

সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা মনে করি, তাদের কারণে এ সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের বাদ দেওয়ার জন্য আমরা আজকেও লিখিতভাবে জানিয়েছি।”

সরকারের প্রতিক্রিয়া

এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সুস্পষ্ট আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, “এটা তারা দেখবেন। আমরা আমাদের কথা বলেছি।”

বৈঠকে আলোচিত বিষয়সমূহ

বৈঠকে আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আলোচনার মূল বিষয় ছিল: সংস্কার, বিচার ব্যবস্থা, এবং নির্বাচন।

তিনি বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে আমরা পরিষ্কার এবং ওনারা একমত হয়েছেন, সংস্কার যেখানে ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়ার কথা, তার ভিত্তিতে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। সেই কাজ অতি সহসা সম্পন্ন করা সম্ভব। এখানে কোনও দ্বিমত পোষণ করেননি।”

বিচার বিষয়ে তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থা বিচার বিভাগ করবে এবং বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছে, এখানে ওনাদের কোনও দ্বিমত নেই।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে খসরু বলেন, “ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব—এই আলোচনাও হয়েছে।”

বিএনপির অবস্থান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, “যদি দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হয়, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলেছি, আজকে বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হচ্ছে, এক ঘোষণার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে শান্তিশৃঙ্খলা এবং গণতন্ত্র ফিরে আসবে।”

বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা

বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন (দলের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য এবং দলের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন), সালাহউদ্দিন আহমেদ, ড. আব্দুল মঈন খান, এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।