ডিজিটাল রূপান্তরে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার

ডিজিটাল রূপান্তরের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিতে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস (১৭ মে) উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য—‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন’ (Gender Equality in Digital Transformation)।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ গঠনে এই সমান অংশগ্রহণ অপরিহার্য।”
তিনি আরও জানান, ডিজিটাল সেবায় জনগণের প্রবেশাধিকার সহজ করতে ‘নাগরিক সেবা’ নামে একটি ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ এবং ছাত্রীদের জন্য শি-এসটিইএম ট্রেনিং (She-STEM Training) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শিগগিরই স্যাটেলাইট ভিত্তিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাতেও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বমানের তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে জনগণ, সরকার এবং বেসরকারি খাতকে একসাথে কাজ করতে হবে।”