ইসরায়েলের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে - ট্রাম্প প্রশাসন

ট্রাম্পের হুমকি, নেতানিয়াহুর শর্তসাপেক্ষ যুদ্ধ।
গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তীব্র অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা দেশটির ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ দ্রুত শেষ না হলে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও ভাবছে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, “যদি আপনি এই যুদ্ধ শেষ না করেন, তাহলে আমরা আর আপনার পাশে থাকব না।”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের অবসান চান।” তিনি আরও বলেন, “গাজায় বহু মানুষ অনাহারে রয়েছে এবং সেখানে ভয়ংকর পরিস্থিতি চলছে।”
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে গাজার মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় এডান আলেকজান্ডার নামের একজন ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত মার্কিন সেনা বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়, যা যুক্তরাষ্ট্র-হামাসের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ত্রাণ সরবরাহে বাধা না সরালে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেসামরিক মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি বহন করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই হুমকির জবাবে বলেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর চালানো হামলার জন্য পুরস্কার প্রস্তাব দিচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে আরও নৃশংসতার পথ তৈরি করবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইসরায়েল ন্যায়সংগতভাবে আত্মরক্ষা করবে এবং যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত থামবে না।”
মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় চিকিৎসা, খাদ্য ও জ্বালানিসহ সব ধরনের ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে, যা হামাসকে চাপিয়ে বাকি বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে।
তবে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মাঝে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু ‘আমরা ইসরায়েলকে ত্যাগ করব’—এই ধারণাটি অমূলক।