টিআইবির দাবি: কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ বাতিল করতে হবে

কালো টাকা বৈধতার সব সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
কালো টাকা সাদা করার সব ধরনের সুবিধা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫ শতাংশ করের বিনিময়ে এই সুবিধা বাতিল করা হলেও এখনো কিছু দুর্নীতিবান্ধব, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বিধান বহাল রয়েছে। তাই এগুলো অবিলম্বে অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাতিল করতে অর্থ উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
আজ মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি জানিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমন অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক সুবিধা সাধারণ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে এবং দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয়। বিগত সরকারও সর্বশেষ বাজেটে এই সুবিধা রেখেছিল।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "আয়কর আইন ২০২৩-এ এখনো তিনটি বিধানে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ রয়েছে, যা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এসব বিধান অবিলম্বে বাতিল করা জরুরি।"
তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারবিষয়ক কমিশনও তাদের প্রতিবেদনে কালো টাকা বৈধ করার সব প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সুপারিশ করেছে। কারণ, অতীতে বহুবার এ সুযোগ দেওয়া হলেও রাজস্ব আদায়ে তেমন সফলতা আসেনি। বরং এতে নৈতিক ক্ষয় ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার তাদের প্রথম বাজেটে একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাতিল করবে। আমরা এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছি।"