যশোর থেকে ৪০০ টন বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানী করা হবে

বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানীর লক্ষ্যে চলতি বছর কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে জেলা কৃষি বিভাগের তদারকিতে আন্তর্জাতিক মানের সবজি উৎপাদন শুরু হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলে বাঁধা কপির দাম কমে যাওয়ার মুহূর্তে বিদেশে রপ্তানী শুরু হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন যশোর সদর উপজেলার শতাধিক কৃষক। এগ্রোবেজ প্রসেসিং প্রতিষ্ঠান যশোরের চুড়ামনকাটি এলাকায় ওয়ার হাউজ ও ফ্যাক্টরি স্থাপন করে কৃষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিদেশে বাঁধাকপি রপ্তানী কাজে সহযোগিতা করে চলেছে। বাঁধাকপিসহ সবজির গুনগত মান নিরুপণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে জাহাজযোগে সবজি বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। দুই মাসে ৪০০ টন বাঁধাকপির চালান মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগ সূত্র আরো জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে বিদেশে বাঁধাকপি রপ্তানী শুরু হয়েছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে যশোর থেকে বাঁধা কপির বেশ কয়েকটি চালান যাবে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে। ওই তিন দেশের সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকার এগ্রোবেজ প্রসেসিং লিমিটেড যশোর কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি করেছে। জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন যশোরও এই রপ্তানী প্রক্রিয়ায় পার্টনারশিপ হিসেবে কাজ করছে। সবজি চাষের শুরুতেই সলিডারিড্যাট বাংলাদেশ ও জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন কৃষকদের গ্রুপ তৈরি করেছে। দু’মাসে কমপক্ষে ৪০০ টন বাঁধা কপি রপ্তানী করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা। কৃষকদের পরিবহণ ও প্রসেসিং খরচ কমাতে সরাসরি মাঠে চলে যাচ্ছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি। যশোর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের তৃনমূল পর্যায়ের কৃষকদেরকে এই কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। চুড়ামনকাটি, হৈবৎপুর, লেবুতলা ও কাশিমনগর ইউনিয়নের দেড়শ’ কৃষককে সুবিধাভোগীর আওতায় আনা হয়েছে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪