মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ছায়া সরকারের অভিযোগ

মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় প্রাণ হারাল ১৭ শিক্ষার্থী, এনইউজির অভিযোগ।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেপেইন শহরের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ১৭ জন শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির ছায়া সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (এনইউজি)। সোমবার (১২ মে) সংঘটিত এই হামলায় আরও অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্কুলটি সাগাইং অঞ্চলের দেপেইন শহরে অবস্থিত, যা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। শহরটি সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই স্কুলটি এনইউজি পরিচালনা করে।
এনইউজির মুখপাত্র নে ফোন লাত জানান, হামলার পর এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। বিমান হামলায় স্কুল ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়ায় আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও মিয়ানমার জান্তা সরকারের কোনো মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। জান্তা সরকার একদিকে বিদ্রোহী জাতিগোষ্ঠী, অন্যদিকে এনইউজি সমর্থিত প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও জান্তা সরকার গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল, তা বাস্তবে অনেক জায়গায় মানা হচ্ছে না। বরং বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর এনইউজি গঠিত হয়, যা এখন জান্তা বিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমন্বয়ে পরিচালিত ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করছে।