আলফাডাঙ্গায় থানার ভেতর থেকেই ‘পালালেন’ আওয়ামী লীগ নেতা, থানায় বড় ভাই

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা ঘটেছে। পৌর আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদককে আটকের পর তিনি থানাতেই পুলিশি পাহারার মধ্য থেকে পালিয়ে যান বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ ওই নেতার বড় ভাইকে থানায় নিয়ে যায় এবং তাকে ছাড়তে নাসির উদ্দিনকে আত্মসমর্পণ করানোর চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. নাসির উদ্দিন (৫২)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাকাইল মহল্লার বাসিন্দা, মৃত সালাম মিয়ার ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি টিন বিক্রির ব্যবসা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর বেলা দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে মুঠোফোনে কথা বলার সুযোগে তিনি থানার পেছনের দিকে, পুলিশ মেসের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যান।
এই ঘটনার পরপরই থানা থেকে নাসির উদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫) ধরে আনা হয়। নবাব আলী এলাকায় একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।
নাসির উদ্দিন ও নবাব আলীর ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, “আমি আলফাডাঙ্গায় ছিলাম না। তবে শুনেছি, মেজ ভাই পালিয়ে যাওয়ার কারণে বড় ভাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেজ ভাইকে আত্মসমর্পণ করালে বড় ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।”
থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, “নাসির উদ্দিনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।” নবাব আলীকে থানায় আনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভাই, এই বিষয়টি আমরা দেখতেছি, দেখি কী করা যায়।”