মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৯ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

জাতীয়

আলফাডাঙ্গায় থানার ভেতর থেকেই ‘পালালেন’ আওয়ামী লীগ নেতা, থানায় বড় ভাই

 প্রকাশিত: ২২:২৪, ১২ মে ২০২৫

আলফাডাঙ্গায় থানার ভেতর থেকেই ‘পালালেন’ আওয়ামী লীগ নেতা, থানায় বড় ভাই

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা ঘটেছে। পৌর আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদককে আটকের পর তিনি থানাতেই পুলিশি পাহারার মধ্য থেকে পালিয়ে যান বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ ওই নেতার বড় ভাইকে থানায় নিয়ে যায় এবং তাকে ছাড়তে নাসির উদ্দিনকে আত্মসমর্পণ করানোর চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. নাসির উদ্দিন (৫২)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাকাইল মহল্লার বাসিন্দা, মৃত সালাম মিয়ার ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি টিন বিক্রির ব্যবসা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর বেলা দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে মুঠোফোনে কথা বলার সুযোগে তিনি থানার পেছনের দিকে, পুলিশ মেসের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যান।

এই ঘটনার পরপরই থানা থেকে নাসির উদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫) ধরে আনা হয়। নবাব আলী এলাকায় একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।

নাসির উদ্দিন ও নবাব আলীর ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, “আমি আলফাডাঙ্গায় ছিলাম না। তবে শুনেছি, মেজ ভাই পালিয়ে যাওয়ার কারণে বড় ভাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেজ ভাইকে আত্মসমর্পণ করালে বড় ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।”

থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, “নাসির উদ্দিনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।” নবাব আলীকে থানায় আনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভাই, এই বিষয়টি আমরা দেখতেছি, দেখি কী করা যায়।”