মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, বৈশাখ ৩০ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

ইসলাম

ঔষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোযা রাখলে রোযা হবে কিনা?

ইসলামিক রিসার্চ একাডেমি বাংলাদেশ, ঢাকা।

 আপডেট: ১২:৩১, ১২ মার্চ ২০২৩

ঔষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোযা রাখলে রোযা হবে কিনা?

প্রশ্ন: আমাদের মা-বোনেরা ৩০ রোজা পূর্ণ করার জন্য ঔষুধ খেয়ে নিজেদের মাসিক বন্ধ রাখতে পারবে কিনা? এবং তার রোজার কি হুকুম।


উত্তর: মনে রাখতে হবে মাসিক হওয়া মহিলাদের একটি স্বাভাবিক নিয়ম। এটা মহিলাদের সুস্থ্যতা ও স্বাভাবিকতার নিদর্শন। এতে তাদের শরীর থেকে নাপাক ও ক্ষতিকর রক্তগুলো বেরিয়ে যায়। তাই ঔষুধ বা পিল খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখা উচিত নয়। এতে করে তার শারিরীক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। আল্লাহ তাআলা এ অবস্থায় মহিলাদের “মা’জুর” হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।

তাই এ দিন সমূহে নামায ও রোযা না করায় আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কোন পাকড়াও নেই। নামায একেবারেই মাফ। যদিও রোযা রমজান পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে। এতে করে সওয়াবের মাঝে কোন কমতি হয় না। তাই উচিত হলো এ স্বাভাবিকতাকে মেনে নেয়া। এভাবে ঔষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই।

তবে কোন মহিলা তার হায়েজের রক্ত আসার আগেই ঔষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে দেয়। তার রক্ত না আসে। তাহলে তাকে পবিত্র ধরা হবে। সেই হিসেবে তার নামায ও রোযা সবই শুদ্ধ হবে। পরবর্তীতে আর সেসব নামায বা রোযার কাজা করার কোন প্রয়োজন নেই।

তবে যদি রক্ত শুরু হবার পর ঔষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে অন্য মাসে যে কয়দিন হায়েজ আসতো, সেই কয়দিন হায়েজের মাঝেই গণ্য হবে। সেই কয়দিন রোযা রাখলেও রোযা হবে না। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে। রক্ত আসার আগেই বন্ধ করে দিলে রোযা রাখা যেমন শুদ্ধ হবে, তেমনি তার কাযাও পরবর্তীতে আবশ্যক হবে না।


- রদ্দুল মুখতার ১/৩০৮