বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৩ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার

 আপডেট: ১৩:৫৮, ২৭ অক্টোবর ২০২২

মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার

হাদিস নং- ৩,৪
পরিচ্ছেদঃ ২– মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।
৩। আবু আসিম বাহ্ ইবন হাকীমের প্রমুখাৎ, তিনি তদীয় পিতার এবং তদীয় পিতা তদীয় পিতামহের প্রমুখাৎ বর্ণনা করেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সদ্ব্যবহার লাভের সর্বাধিক যােগ্য পাত্র কে? তিনি ফরমাইলেনঃ তােমার মাতা। বলিলাম । তারপর কে? ফরমাইলেন ঃ তােমার মাতা।
আবার বলিলামঃ তারপর কে? ফরমাইলেনঃ তােমার মাতা। পুনরায় প্রশ্ন করিলাম ঃ তারপর কে? ফরমাইলেনঃ তােমার পিতা। অতঃপর যে যত ঘনিষ্ট সে তত বেশী ।
بَابُ بِرِّ الأُمِّ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قُلْتُ‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، مَنْ أَبَرُّ‏؟‏ قَالَ‏:‏ أُمَّكَ، قُلْتُ‏:‏ مَنْ أَبَرُّ‏؟‏ قَالَ‏:‏ أُمَّكَ، قُلْتُ‏:‏ مَنْ أَبَرُّ‏؟‏ قَالَ‏:‏ أُمَّكَ، قُلْتُ‏:‏ مَنْ أَبَرُّ‏؟‏ قَالَ‏:‏ أَبَاكَ، ثُمَّ الأَقْرَبَ فَالأَقْرَبَ‏.‏

পরিচ্ছেদঃ ২– মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।

৪। আতা ইবন ইয়াসার (রা) বলেন ঃ এক ব্যক্তি হযরত ইবন আব্বাস (রা)–এর খেদমতে হাযির হইয়া আরয করিল, আমি একটি রমণীকে বিবাহের প্রস্তাব দিলাম। সে তাহাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিল। অতঃপর এক ব্যক্তি তাহাকে বিবাহের প্রস্তাব দিল এবং সে ঐ প্রস্তাব পছন্দ করিল। ইহাতে আমার আত্মমর্যাদায় আঘাত লাগিল এবং আমি তাহাকে রাগের মাথায় হত্যা করিয়া বসিলাম। আমার জন্য কি তাওবার মাধ্যমে উক্ত পাপ হইতে নিষ্কৃতি লাভের কোন সুযােগ আছে ? তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন ? তােমার মাতা কি জীবিত আছেন? সে ব্যক্তি বলিল ঃ জ্বী না। তিনি বলিলেন ঃ তুমি আল্লাহর নিকট তাওবা কর এবং যথাসাধ্য ইবাদত ও নফল কার্যাদির মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভে যত্নবান হও!

রাবী আতা ইবন ইয়াসার (রা) বলেন ঃ তখন আমি হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) এর নিকট গিয়া জিজ্ঞাসা করিলামঃ হুযুর! তাহার মাতা জীবিত কি না, এ কথা আপনার জিজ্ঞাসা করার হেতু কি? তিনি বলিলেনঃ মাতার সহিত সদ্ব্যবহারের চাইতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রকৃষ্টতর কোন কার্য আমার জানা নেই।

হাদিসের ব্যাখ্যা

بَابُ بِرِّ الأُمِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ‏:‏ إِنِّي خَطَبْتُ امْرَأَةً، فَأَبَتْ أَنْ تَنْكِحَنِي، وَخَطَبَهَا غَيْرِي، فَأَحَبَّتْ أَنْ تَنْكِحَهُ، فَغِرْتُ عَلَيْهَا فَقَتَلْتُهَا، فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ‏؟‏ قَالَ‏:‏ أُمُّكَ حَيَّةٌ‏؟‏ قَالَ‏:‏ لاَ، قَالَ‏:‏ تُبْ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَتَقَرَّبْ إِلَيْهِ مَا اسْتَطَعْتَ‏.‏ فَذَهَبْتُ فَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ‏:‏ لِمَ سَأَلْتَهُ عَنْ حَيَاةِ أُمِّهِ‏؟‏ فَقَالَ‏:‏ إِنِّي لاَ أَعْلَمُ عَمَلاً أَقْرَبَ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ بِرِّ الْوَالِدَةِ‏.‏

মন্তব্য করুন: