কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দু’আ

দু’আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার বিশেষ যোগসূত্র তৈরি হয়। আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্য ও তার প্রতি বিশ্বাস প্রকাশ পায়। নুমান ইবনে বাশীর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
الدُّعَاءُ هُوَ العِبَادَةُ.
দু’আই ইবাদত।
এরপর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত তিলাওয়াত করেন—
وَ قَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِيْۤ اَسْتَجِبْ لَكُمْ ؕ اِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِيْنَ.
তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব (দু’আ কবুল করব)। নিশ্চয়ই অহংকারবশে যারা আমার ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। [সূরা মুমিন (৪০) : ৬০] —সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৭৯; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯৬৯
সহজে আমলযোগ্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দু’আ:
১. কোন রোগের মহামারী থেকে বেঁচে থাকার দু’আ:
اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্বম
অর্থঃ হে আল্লাহ্! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, মস্তিষ্ক বিকৃতি, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার দূরারোগ্য ব্যধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
২. বিপদ-মসিবতের সময় পাঠ করার দু’আ : হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে সে যদি এই দোয়া পাঠ করে- আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।
উচ্চারণঃ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসিবাতী ওয়া আখলিফ-লী খাইরাম মিনহা।
অর্থ : আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম
৩.গুনাহ ও ঋণ থেকে মুক্তির দু’আ: উরওয়া ইবনে জুবায়ের (রহ.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) তাকে বলেছেন, রাসুল (সা.) নামাজে এ দোয়া করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৮৩২)
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মাছামি, ওয়াল মাগরামি।
অর্থ: হে আল্লাহ, গুনাহ ও ঋণগ্রস্ততা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
৪. দুঃসংবাদ শুনলে যে দু’আ পড়বে:
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।
অর্থঃ আমরাতো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁর নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।
৫. বদ নযর থেকে হেফাযতের দু‘আ:
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ .
উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমাা তিল্লাা হিত তাা ম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বাা নিউ ওয়া হাা ম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনীন লাাম্মাহ।
অর্থঃ সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদ নযর হতে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি।