নাফ নদী থেকে আটক ৪ রোহিঙ্গাকে একদিন পর ছেড়ে দিলো আরাকান আর্মি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় আটক চার রোহিঙ্গা যুবককে একদিন পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টেকনাফের জাদিমুড়া সীমান্ত দিয়ে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে আসেন।
ফিরে আসা চারজন হলেন—টেকনাফের ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. ইসমাঈলের ছেলে আরাফাত উল্লাহ, ছৈয়দ আলমের ছেলে মো. আনিস উল্লাহ, মো. জাবের, এবং মো. হাসানের ছেলে মো. আনোয়ার সাদেক।
জাদিমুড়া ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ নুর জানান, বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে টেকনাফের দমদমিয়া সীমান্ত এলাকার নাফ নদীতে ওই চারজন মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার একপর্যায়ে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের ভেতরে চলে যান। তখন আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের আটক করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে নিশ্চিত হওয়া গেলে যে তারা জেলে, যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, “বিজিবি শুরু থেকেই আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। এই কারণে তাদের ছাড়তে বাধ্য হয়েছে তারা। ফেরত আসা চারজনকে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ইন-চার্জের অধীনে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তবে এ ঘটনায় ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, “যাদের জেলে বলা হচ্ছে, তারা প্রকৃতপক্ষে জেলে নয়। মূলত মাদক আনতে তারা প্রায়ই মিয়ানমারে যাতায়াত করে।”
এই ঘটনা সীমান্ত নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চলাফেরা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।