শনিবার ০৩ মে ২০২৫, বৈশাখ ২০ ১৪৩২, ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত আগামী সাত মাস হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য নির্ধারক সময়: প্রেস সচিব ৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া গত তিন দিনে হজে গেছেন ১৩,১৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী পহেলগাঁও হামলায় ‘র’-এর জড়িত থাকার গোপন নথি ফাঁস চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন নিয়ে ইন্টারিম সরকারকে হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লাহর পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১১৩৭ ‘মানবিক করিডোরের’ সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান ‘জাতীয় স্বার্থে প্রস্তুত পাকিস্তান’—ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন সেনাপ্রধান বৈষম্যবিরোধী হয়ে থাকলে শ্রমিকের বেতন বাড়ান: ইউনূসকে সেলিম ‘দুর্দশায়’ ২৬ বাংলাদেশি, ‘ব্যবস্থার’ নির্দেশ ফিজি প্রধানমন্ত্রীর ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা: বিশেষ এলাকায় ‘কঠোর পদক্ষেপ’ ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে মে দিবস উত্তেজনা কমাতে একসঙ্গে কাজ করুন: ভারত-পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল পাকিস্তানে ভারতের সম্ভাব্য হামলার ধরন যেমন হতে পারে ঐকমত্য কমিশন যেন বিভাজনের কমিশন না হয় পোপ হতে চান ট্রাম্প অবশেষে সেই খনিজ চুক্তিতে সই করল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইন

জাতীয়

আগামী সাত মাস হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য নির্ধারক সময়: প্রেস সচিব

 প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ২ মে ২০২৫

আগামী সাত মাস হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য নির্ধারক সময়: প্রেস সচিব

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়িয়ে বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন টিইইউতে উন্নীত করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালকদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব অপরিহার্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, সফল অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে যে বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত। তবে তিনি সতর্ক করে দেন, এই সাত মাসে দেশ গড়ে উঠতেও পারে, আবার ব্যর্থতাও ঘটতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রেটন উডস চুক্তির পর যে পুরোনো অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা গড়ে উঠেছিল এবং যা ডব্লিউটিও দ্বারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, তা এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই যুগের সবচেয়ে বড় বিজয়ীরা ছিল জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া- যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে সমৃদ্ধ হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও ধীরে ধীরে এই পথে অগ্রসর হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে ছিল।

শফিকুল আলম মনে করেন, এখন হয়তো বাংলাদেশের সময় এসেছে, তবে এ মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ অপরিহার্য। আশাব্যঞ্জক দিক হলো, এমনকি ইসলামপন্থী দলগুলোও এখন ব্যবসাবান্ধব নীতির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে।

তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি লজিস্টিক সংকটকে চিহ্নিত করেন। পণ্য পরিবহনের দক্ষতা পরীক্ষার মুখে পড়বে এবং ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।