বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, বৈশাখ ১৮ ১৪৩২, ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবেশ রক্ষায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে কার্যকর উদ্যোগ

 প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পরিবেশ রক্ষায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে কার্যকর উদ্যোগ

পরিবেশ এবং বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে খ্যাতি পেয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যিনি বর্তমানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি প্লাস্টিক দূষণ রোধ, বনের জমি উদ্ধার এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষায় জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি মানুষকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করছেন। ফ্রিজে পলিথিনে পেঁচানো খাবার থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের কাপ, কলম এবং বোতলের ব্যবহার—এসব নিয়ে তিনি জনসচেতনতা গড়ে তুলছেন। তিনি বলছেন, অভ্যাস বদলালেই প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে যাওয়া সম্ভব। পেন্সিল বা কাচের বোতল ব্যবহারকে তিনি বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেছেন।

মন্ত্রণালয় জানায়, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতর ৭৯৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৩ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায় করেছে এবং ৪৫৪টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করেছে। পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে ৩৭৪টি অভিযান পরিচালনা করে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় ১.৭ লাখ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।

বনের জমি উদ্ধারে গৃহীত কার্যক্রমে গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১,৭১৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাতিল করে জমি বন বিভাগের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বন্যপ্রাণী সুরক্ষায়ও নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। বন্যহাতির চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ৬টি বিশেষ দল ও বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের ২ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় উদ্যান ও ইকোপার্কে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি হাতি উদ্ধার এবং মাহুতদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে চুরি যাওয়া রিংটেইল লেমুর উদ্ধারেও উপদেষ্টার নির্দেশনা কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে এসব পদক্ষেপ পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে।