শুক্রবার ০২ মে ২০২৫, বৈশাখ ১৮ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

পহেলগাঁও হামলায় ‘র’-এর জড়িত থাকার গোপন নথি ফাঁস চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন নিয়ে ইন্টারিম সরকারকে হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লাহর পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১১৩৭ ‘মানবিক করিডোরের’ সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান ‘জাতীয় স্বার্থে প্রস্তুত পাকিস্তান’—ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন সেনাপ্রধান বৈষম্যবিরোধী হয়ে থাকলে শ্রমিকের বেতন বাড়ান: ইউনূসকে সেলিম ‘দুর্দশায়’ ২৬ বাংলাদেশি, ‘ব্যবস্থার’ নির্দেশ ফিজি প্রধানমন্ত্রীর ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা: বিশেষ এলাকায় ‘কঠোর পদক্ষেপ’ ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে মে দিবস উত্তেজনা কমাতে একসঙ্গে কাজ করুন: ভারত-পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল পাকিস্তানে ভারতের সম্ভাব্য হামলার ধরন যেমন হতে পারে ঐকমত্য কমিশন যেন বিভাজনের কমিশন না হয় পোপ হতে চান ট্রাম্প অবশেষে সেই খনিজ চুক্তিতে সই করল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইন

আন্তর্জাতিক

পহেলগাম হামলা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি হিন্দুদের প্রতিবাদ

 প্রকাশিত: ২২:১৪, ১ মে ২০২৫

পহেলগাম হামলা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি হিন্দুদের প্রতিবাদ

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হিন্দুদের বিক্ষোভ। ছবি: ডন

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগের প্রতিবাদে পাকিস্তানে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরে এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সংখ্যালঘু সদস্য ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা সঞ্জয় কুমার।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে কোয়েটার বিভিন্ন সড়কে পদযাত্রা করেন। পরে তারা প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত হয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশ নেন।

বক্তব্যে সঞ্জয় কুমার বলেন, “পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে। ভারত যদি কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে পাকিস্তানের এক কোটিরও বেশি হিন্দু সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াবে।”

সমাবেশে আরও বলা হয়, পহেলগাম হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপিয়ে ভারত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে। বক্তারা ভারতের এমন আচরণকে আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা ও অন্যান্য বক্তারা ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ, বিশেষ করে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন, “১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এই আন্তর্জাতিক চুক্তিকে একতরফাভাবে বাতিল করার কোনো অধিকার ভারতের নেই। এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।”

সমাবেশ শেষে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি।