সরকারি মালামাল পাচার: ইউপি সদস্যসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা টেকনাফে

টেকনাফ থানা
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে নেওয়ার কথা বলে সরকারি বরাদ্দের সিমেন্ট, বালু ও টিন মিয়ানমারে পাচারের ঘটনায় এক নারী ইউপি সদস্যসহ ৭–৮ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই জনকে এজাহারভুক্ত এবং বাকিদের অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন শুক্রবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিস সহকারী বাদী হয়ে বরখাস্ত হওয়া বিচকর্মী আশিকুর রহমান এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নারী ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তারকে নামীয় আসামি করে এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টিআর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সিমেন্ট, বালু ও টিন জাল নথিপত্রের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে নেওয়ার কথা বলে ট্রলারে তুলে মিয়ানমারে পাচার করা হয়। এ ঘটনায় নথিপত্র জালিয়াতি এবং পণ্য পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের নথিপত্র জাল করে একটি চক্র এসব সরকারি মালামাল মিয়ানমারে পাচার করেছে। এ ঘটনায় থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, পাচারের সঙ্গে জড়িত ‘সেভেন স্টার’ নামের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালান চালিয়ে আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে বরাদ্দ পাওয়া সিমেন্ট, বালু ও টিন ছাড় করা হয়। বিকালে ট্রলারে এসব মালামাল সেন্টমার্টিনে পাঠানোর কথা বলা হলেও বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেগুলো সেখানে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, মালবাহী ট্রলারটি মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে এবং এতে তিনজন মাঝিমাল্লাও ছিলেন।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে প্রশাসন দ্রুত তৎপর হয়ে মামলার উদ্যোগ নেয়।