চাঁদপুরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, ৩ অভিযুক্ত গ্রেফতার

গ্রেফতার তিন জন
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মায়ের সাথে অভিমান করে ঘর থেকে বের হওয়া এক সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিন তরুণকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৬ মে) ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন – ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের সায়েদুল বাউলের ছেলে সাফায়েত (১৮), একই গ্রামের জহিরুল হক পাহাড়ের ছেলে রাব্বি (১৯) এবং পার্শ্ববর্তী পাঁচগাছিয়া গ্রামের স্বপন প্রধানের ছেলে লামিম (১৮)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (৪ মে) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ওই কিশোরী তার মায়ের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির পেছনে চলে যায়। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাফায়েত, লামিম ও রাব্বি তাকে জোরপূর্বক ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জনৈক ফিরোজের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সারারাত ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে অভিযুক্তরা কিশোরীকে তার বাড়ির নিকটবর্তী অন্য একজনের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে, কিশোরীর চাচা মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি দ্রুত স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগী কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে।
কিশোরীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাফায়েত, রাব্বি ও লামিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানোর পরপরই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ওসি রবিউল হক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, "দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।"