রোববার ১১ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৭ ১৪৩২, ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

জাতীয়

চট্টগ্রামে র‍্যাব ক্যাম্পে এএসপি পলাশের আত্মহত্যা, উদ্ধার সুইসাইড নোট

 প্রকাশিত: ২৩:২৫, ৭ মে ২০২৫

চট্টগ্রামে র‍্যাব ক্যাম্পে এএসপি পলাশের আত্মহত্যা, উদ্ধার সুইসাইড নোট

পাশে থাকা চিরকুট ও নিহত পুলিশ কর্মকর্তা

চট্টগ্রামে র‍্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্পে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা (৩৭) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৭ মে, ২০২৫) দুপুরে ক্যাম্পের নিজ কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কক্ষ থেকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জের ধরে এই পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত পলাশ সাহা গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের প্রয়াত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে নগরের চান্দগাঁও এলাকায় তার মা আরতি সাহা ও স্ত্রী সুস্মিতা সাহার সঙ্গে বসবাস করতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা তার শাশুড়ি আরতি সাহার সঙ্গে তাদের সংসারে থাকাটা মেনে নিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন সকালেও (বুধবার) স্ত্রীর সঙ্গে পলাশ ও তার মায়ের ঝগড়া হয়। এরপর পলাশ সাহা তার কর্মস্থল র‍্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে চলে আসেন। সেখানে নিজ অফিসের চেয়ারে বসে নিজের নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

র‍্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন বলেন, "নিহত পলাশ সাহা নগরের চান্দগাঁও র‌্যাব-৭ ক্যাম্পে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে কর্মরত ছিলেন। কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।" তিনি আরও জানান, "র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ক্যাম্পে কর্মরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণকালে তিনি অস্ত্র ইস্যু করে নিজের অফিস রুমে প্রবেশ করেন। তার কিছুক্ষণ পর একটি শব্দ শুনে কর্তব্যরত অন্য র‍্যাব সদস্যরা তাকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পায়। সেই সময় তার নামে ইস্যুকৃত পিস্তল নিচে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং টেবিলে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।"

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, "পলাশ সাহা পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট থেকেও এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে। চট্টগ্রামের বাসায় স্ত্রী এবং মা থাকতো। তবে আমরা পরিবারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে পারিনি। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।"

উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা ছিল: "আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না; আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।"

এই ঘটনায় পুলিশ ও র‍্যাব উভয় পক্ষই তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।