ভারতের বিমান হামলা: ৭০ সন্ত্রাসী নিহত, নয়টি ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আজ বুধবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হামলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে, পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তইয়্যেবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর ঘাঁটিগুলো ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করে ভারত। এসব হামলায় প্রায় ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, এই অভিযান মঙ্গলবার রাত ১টা ০৪ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে। প্রথম ধাপে বোমাবর্ষণ করা হয় কোটলির মারকাজ আব্বাস ক্যাম্পে, যা লস্কর-ই-তইয়্যেবা-র আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এরপরে আরও কয়েকটি ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, “পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না আসায় আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।”
তারা আরও জানান, “এই অভিযান ছিল প্রয়োজনীয়, পরিকল্পিত এবং আত্মরক্ষামূলক। একইসঙ্গে এটি ছিল সীমিত পরিসরে, দায়িত্বশীল ও অনুপাতিক। এর মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা প্রতিরোধ নিশ্চিত করা।”
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই পদক্ষেপ এবং প্রকাশিত ভিডিও ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।