নিজের নয়, জনগণের ইচ্ছায় সরকারপ্রধানের পদে: অধ্যাপক ইউনূস

জনগণের ইচ্ছায় দায়িত্ব, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়: অধ্যাপক ইউনূস
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা নয়, বরং জনগণের প্রত্যাশার ফল।
মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা–কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য নয়, এটা সেইসব মানুষের চাওয়া, যারা পরিবর্তন চেয়েছেন। আমি শুধু তাঁদের পথে হাঁটার সহায়ক।”
তিনি আরও জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাঁকে বেশি বিকল্প দেয়নি। তবে দায়িত্বটিকে তিনি কোনো ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়, বরং জনগণের প্রতি কর্তব্য হিসেবে দেখছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এখানে অনেক অসুবিধা আছে। অনেকেই এটাকে ব্যাহত করতে চায়। বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত কিছু রাজনৈতিক শক্তি গোটা ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।”
বাংলাদেশের নতুন ভোটার প্রসঙ্গেও তিনি কথা বলেন। তাঁর ভাষায়, “অনেকে ১০–১৫ বছর ধরে ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। ১৮ বছর বয়স হলেও তাঁরা কখনো ভোটের সুযোগ পাননি। এখন তাঁরা প্রথমবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।”
গত বছরের ৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে। এর পর ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস ১৯৭০–এর দশকে ক্ষুদ্রঋণের ধারণা চালু করেন এবং ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৭৬ সালে শুরু হয়ে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ গ্রহীতাকে ঋণ দিয়েছে, যার ৯৭ শতাংশই নারী।