মঙ্গলবার ১২ আগস্ট ২০২৫, শ্রাবণ ২৮ ১৪৩২, ১৭ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

চট্টগ্রামে নতুন সেতু নির্মাণে ৮-৯ কোটি টাকা, এক বছর সময় লাগবে

 প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১০ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে নতুন সেতু নির্মাণে ৮-৯ কোটি টাকা, এক বছর সময় লাগবে

ভাঙা সেতুর জায়গায় শীঘ্রই দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে; নতুন সেতু নির্মাণে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগার আশা করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

নগরের শীতল ঝরনা খালের ওপর ভেঙে পড়া সেতুর ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে। বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের স্টারশিপ গলি এলাকায় আজ দুপুরে খননযন্ত্র দিয়ে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই নতুন সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন সেতু নির্মাণের কাজ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এ প্রকল্পের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা।

গত বৃহস্পতিবার সকালে ভারী বর্ষণের কারণে বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের স্টারশিপ গলির কাছে অবস্থিত সেতুর এক পাশ ভেঙে পড়ে। সেতুর অপর পাশ দিয়ে এখনও যানবাহন চলাচল করলেও সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা।

সেতু দিয়ে নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন সড়ক পর্যন্ত যাত্রীরা যাতায়াত করেন। বর্তমানে সেতুর ভাঙা পাশের বিপরীতে থাকা অংশ চালু থাকলেও নিরাপত্তার জন্য ভারী যানবাহনের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙা অংশ ঘিরে রাখা হয়েছে টিন দিয়ে, এবং সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সতর্কতামূলক ব্যানার টানানো হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক জসীম উদ্দিন জানান, নতুন সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১৫ মিটার, যা পুরাতন সেতুর (৬ মিটার) তুলনায় প্রায় দেড়গুণ বড় হবে। প্রশস্ততা হবে ২৩ মিটার। দ্রুত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। দরপত্র প্রক্রিয়া ও ঠিকাদার নিয়োগে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। এরপর নির্মাণকাজ শুরু করে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন সেতুর দুই পাশের নির্মাণ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। প্রথমে ভাঙা অংশের কাজ সম্পন্ন হবে, পরে অন্য পাশের নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।

বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক চট্টগ্রাম নগর থেকে উত্তর চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি অঞ্চলে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পথ। এ সড়কের দুই পাশে পোশাক কারখানা, ইস্পাত কারখানা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এবং খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা এই সড়কের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলে।