শুক্রবার ১৫ আগস্ট ২০২৫, শ্রাবণ ৩০ ১৪৩২, ২০ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

এপস্টেইনের মাধ্যমেই ট্রাম্প–মেলানিয়ার পরিচয় হয়েছিল—হান্টার বাইডেনের দাবি

ওএনপি২৪ নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ১৯:২৮, ১৪ আগস্ট ২০২৫

এপস্টেইনের মাধ্যমেই ট্রাম্প–মেলানিয়ার পরিচয় হয়েছিল—হান্টার বাইডেনের দাবি

মেলানিয়ার সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পুরোনো মুহূর্ত

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। অভিযোগ, হান্টার এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন—কুখ্যাত শিশু যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইনের মাধ্যমেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার পরিচয় হয়েছিল।

মেলানিয়ার আইনজীবীরা হান্টারের এই বক্তব্যকে “মিথ্যা, অবমাননাকর ও মানহানিকর” বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং দাবি প্রত্যাহারসহ ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তা না হলে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণের মামলা করা হবে বলে সতর্ক করেছেন।

চলতি মাসের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যান্ড্রু ক্যালাঘানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হান্টার এ দাবি তোলেন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইন সম্পর্কিত অপ্রকাশিত নথি ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করবে। হান্টারের বক্তব্যের একটি অংশ সাংবাদিক মাইকেল উলফের লেখা ট্রাম্পবিষয়ক সমালোচনামূলক জীবনী থেকে নেয়া বলে উল্লেখ করেছে মেলানিয়ার পক্ষ। তবে এপস্টেইনের মাধ্যমে ট্রাম্প ও মেলানিয়ার পরিচয়ের কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে নিউইয়র্কে একটি মডেলিং এজেন্সির আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সে সময় ট্রাম্প মেলানিয়ার ফোন নম্বর চাইলেও তিনি তা দিতে অস্বীকার করেছিলেন।

জেফরি এপস্টেইন ট্রাম্পের পুরোনো বন্ধু হলেও ২০০০-এর দশকের শুরুতে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায় বলে জানান ট্রাম্প। কারণ, এপস্টেইন তাঁর ফ্লোরিডার গলফ ক্লাবের কর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছিলেন।

২০১৯ সালে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এপস্টেইনের ঝুলন্ত মরদেহ নিউইয়র্কের একটি কারাগার থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা—এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মার্কিন বিচার বিভাগ আত্মহত্যা বলেই চূড়ান্ত মত দেয়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও এফবিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করতেন বা গ্রাহক তালিকা রাখতেন—এমন প্রমাণ মেলেনি। তবে এপস্টেইন–কাণ্ডে হোয়াইট হাউস কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপে রয়েছে।