সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫, শ্রাবণ ২৭ ১৪৩২, ১৬ সফর ১৪৪৭

রাজনীতি

রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে মামলা, আসামি ১২৯

ওএনপি২৪ নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৯ আগস্ট ২০২৫

রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে মামলা, আসামি ১২৯

রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে মামলায় আসামি ১২৯

গত ২৯ জুলাই চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গোলাম আকবর খন্দকার পক্ষের করা মামলায় ১২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে রাউজান থানায় সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম আকবর অনুসারী নাছিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

পুলিশ জানায়, আসামিরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মী এবং গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। তাঁদের মধ্যে আছেন জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান, রেওয়াজ উদ্দিন ও মুহাম্মদ সোহেল।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সর্তারঘাট এলাকায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী (পদ স্থগিত) ও গোলাম আকবর খন্দকার (কমিটি বিলুপ্ত) পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গোলাম আকবরসহ দুই পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন এবং কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে এবং গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদ স্থগিতের নোটিশ জারি করে। একই সঙ্গে দলীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজীজুল বারীকে সাত দিনের মধ্যে লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত সোমবার আজীজুল বারী রাউজান গিয়ে উভয় পক্ষের নেতা ও সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার নেন।

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক অভিযোগ করেন, “যেহেতু কেন্দ্র তদন্ত করছে, আমরা মামলা করিনি। অথচ প্রতিপক্ষ মামলা দিয়ে আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে আসামি করেছে। অনেক নেতা-কর্মী আহত হলেও আমরা তদন্তের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছি।”

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ বলেন, “প্রতিপক্ষ আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে এখন মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দীর্ঘ ১৭ বছর হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, এখন নিজেদের দলের ভেতরের নেতার অনুসারীদের মামলা খাচ্ছি।”

অন্যদিকে গোলাম আকবর খন্দকার দাবি করেন, “আমাদের ওপর হামলা হয়েছে, তাই মামলা করেছি। নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে থাকায় দেরি হয়েছে। আমিও সেদিন মার খেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”

পুলিশ জানায়, মামলার আসামিদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় যুবদল নেতাসহ মোট ১২৯ জন রয়েছেন।

এদিকে, রাউজানে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে মোট ১৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটে, যার মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক। এই সময়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে শতাধিকবার এবং অন্তত ৩০০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৫–৪০টি।