শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৫ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

নবীগণের সর্দার মুহাম্মদ সাঃ এর সৌন্দর্যের পাঁচ বর্ণনা

 প্রকাশিত: ০৯:৩১, ১৩ জুলাই ২০২১

নবীগণের সর্দার মুহাম্মদ সাঃ এর সৌন্দর্যের পাঁচ বর্ণনা

আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন অতুলনীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যদিও তার কোনো ছবি সংরক্ষণ করা হয়নি বা এ ছবি সংরক্ষণকেও সাধারণভাবে তার প্রতি অসম্মানের বিষয় মনে করা হয়, তথাপি রাসূল (সা.) এর সৌন্দর্যের বিবরণ আমরা আল্লাহর রাসূলের সাহাবীদের বিবরণ থেকে জানতে পারি।

 

রাসূল (সা.) এর কবি সাহাবী হযরত হাসসান ইবনে সাবিত (রা.) রাসূল (সা.) এর সৌন্দর্য বর্ণনা করে এক কবিতায় লিখেছেন,

আমার চোখ দেখেনি কাউকে তোমার মত নিখুঁততর,

কোনো নারীর সন্তানই নয় তোমার থেকে সুন্দরতর;

তোমার সৃষ্টিতে নেই বিন্দুমাত্র ত্রুটি

যেনো তোমার ইচ্ছাতে তুমি হয়েছো সৃষ্টি।

 

এখানে রাসূল (সা.) এর সৌন্দর্য সম্পর্কে তার সাহাবীদের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে পাঁচটি বর্ণনা এখানে উল্লেখ করা হলো।

 

এক.
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেছেন,

“আল্লাহর রাসূল (সা.) এত পরিষ্কার, উজ্জ্বল, সুন্দর এবং সুদর্শন ছিলেন যে, তার শরীর যেনো রূপা দ্বারা মোড়ানো ছিল। তার চুল ছিল কিছুটা কোঁকড়ানো।” 

 

দুই.
হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেছেন,

“আমি একবার পূর্ণিমার রাতে রাসূল (সা.) এর সাথে ছিলাম। সে রাতে তিনি লাল ডোরাকাটা একটি কাপড় পরেছিলেন। আমি একবার পূর্ণিমার চাঁদের দিকে আবার রাসূল (সা.) এর দিকে তাকালাম। শেষপর্যন্ত আমি এ সিদ্ধান্তে পৌছলাম, পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও আল্লাহর রাসূল বেশি সুন্দর ও উজ্জ্বল।” 

 

তিন.
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেছেন,

“রাসূল (সা.) খুব লম্বাও ছিলেন না আবার খুব বেঁটেও ছিলেন না। বর্ণের দিক থেকে তিনি একদম সাদাও ছিলেন না, আবার একদম কালোও ছিলেন না বা বাদামীও ছিলেন না। (তিনি ছিলেন উজ্জ্বল, ১৪ তারিখের রাতের পূর্ণ চাঁদের থেকেও দীপ্তিমান।)

 

চার. 
হযরত বারা ইবনে আযিব (রা.) বলেন,

“আল্লাহর রাসূল (সা.) ছিলেন মধ্যম আকৃতির লোক (হালকা লম্বা); তার ছিল চওড়া কাঁধ, কানের লতি পর্যন্ত ঘন চুল; তিনি একটি লাল ডোরাকাটা কাপড় ও একটি চাদর পরতেন। আমি তারমত সুন্দর কাউকে বা কিছুই দেখিনি।”

 

পাঁচ.
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেছেন,

“আমি রাসূল (সা.) এর মত সুদর্শন কাউকে দেখিনি। যেনো সূর্যের উজ্জ্বলতা তার পবিত্র চেহারা থেকে বিচ্ছুরিত হয়। তার থেকে দ্রুত হাঁটতে আমি আর কাউকে দেখিনি, যেনো তার জন্য জমিনকে ভাঁজ করে দেওয়া হতো। কিছুক্ষণ আগেই হয়তো তিনি এখানে ছিলেন এবং পরমুহূর্তেই তিনি দূরে চলে গেছেন। তার সাথে হেঁটে তাল রাখা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যেতো।”

 

উপরের সকল বর্ণনাই জামে তিরমিজি থেকে নেওয়া হয়েছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: