গাজায় যুদ্ধবিরতির পথে অগ্রগতি: হামাস প্রস্তাব মেনে নিয়েছে

গাজা সিটি ছাড়ছেন অনেক ফিলিস্তিনি। ছবি: রয়টার্স
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস গাজা যুদ্ধ নিয়ে আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। প্রস্তাবটির আওতায় জিম্মি-বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির একটি সূত্র। সোমবার (১৮ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, মিসর ও কাতারের প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। প্রস্তাবে ৬০ দিনের জন্য একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে, যার আওতায় ধাপে ধাপে ইসরায়েলের হাতে থাকা প্রায় অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত। এই সময়েই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলবে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রবিবার রাতে তেলআবিবে কয়েক লাখ মানুষ যুদ্ধবিরতির পক্ষে ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন, এসব বিক্ষোভ হামাসের দরকষাকষির অবস্থানকে আরও শক্ত করছে।
এর আগে গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার শর্তে ইসরায়েল একটি সমঝোতায় রাজি হতে পারে। তবে একই সময়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা গাজা সিটিতে সেনা অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অনুমোদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হামাস এর আগে জানায়, ২২ মাস ধরে চলা যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের প্রতিশ্রুতি ছাড়া তারা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে না। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জিম্মি মুক্তির আগে হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার শর্ত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। জবাবে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৬২ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।