ট্রাম্পের শুল্ক চাপ কি এশিয়ায় নতুন সমীকরণ তৈরি করছে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যনীতি ভারত ও চীনের মধ্যে কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ এবং পরে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে কিছু অভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থের জায়গা তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়ে সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে ভারত-চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও, ট্রাম্পের আকস্মিক পদক্ষেপ দুই দেশকে একটি নতুন কৌশলগত বাস্তবতায় দাঁড় করিয়েছে। এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারওয়া আমের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নীতির মুখে আমরা ভারত-চীন সম্পর্কের আরও ঘনিষ্ঠতা দেখতে পাব।”
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন চীন সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তিনি সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে বেইজিং যাচ্ছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ সফরকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সম্মেলনকে ‘ফলপ্রসূ’ হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে।
তবে এই ঘনিষ্ঠতাকে অনেকেই স্বাভাবিক বন্ধুত্ব নয়, বরং হোয়াইট হাউসের অভিন্ন প্রতিপক্ষের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও চীনের মধ্যে কৌশলগত অবিশ্বাস এখনো বহাল রয়েছে। ফারওয়া আমের সতর্ক করে বলেন, “ভারতের উচিত হবে না ওয়াশিংটনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক উপেক্ষা করে ঝুঁকি নেওয়া।”