সোমবার ১৮ আগস্ট ২০২৫, ভাদ্র ২ ১৪৩২, ২৩ সফর ১৪৪৭

অর্থনীতি

৮৫৭ কোটি টাকার দুর্নীতি: এক্সিম ব্যাংকের ওপর দুদকের মামলা

 প্রকাশিত: ২২:১৭, ১৭ আগস্ট ২০২৫

৮৫৭ কোটি টাকার দুর্নীতি: এক্সিম ব্যাংকের ওপর দুদকের মামলা

Exim Bank

এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জালিয়াতির মাধ্যমে এই অর্থ লোপাটের ঘটনায় রোববার (১৭ আগস্ট) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় যেসব ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন—ঋণগ্রহীতা মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটসের মালিক মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, তার স্ত্রী ও সাবেক পরিচালক নাসরিন ইসলাম, বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজ হোসেন, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেসমিন আক্তার, সিনিয়র অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইব্রাহিম খান ও মো. মঈনুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম, সাবেক এমডি মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক অ্যাডিশনাল এমডি মো. আব্দুল বারী, মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, মো. নুরুল আমিন, অঞ্জন কুমার সাহা, মো. নাজমুস সাদেকিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওসার।

দুদকের এজাহারে বলা হয়, মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটসের উদ্যোক্তা মোজাম্মেল হোসাইন অসৎ উদ্দেশ্যে এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেন। এই ঋণ অনুমোদনে ব্যাংকের পরিচালক, চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগসাজশে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। নিয়ম ভেঙে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। পরে ঋণটি খেলাপি হয়ে ব্যাংকটি ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫০ টাকার ক্ষতির মুখে পড়ে। এতে শুধু ব্যাংক নয়, সরকারের আর্থিক খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা নিজেদের ক্ষমতা অপব্যবহার করে যথাযথ যাচাই ছাড়াই গ্রাহকের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন করেন এবং তা আত্মসাৎ করেন। এতে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।