শুক্রবার ০২ মে ২০২৫, বৈশাখ ১৯ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত আগামী সাত মাস হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য নির্ধারক সময়: প্রেস সচিব ৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া গত তিন দিনে হজে গেছেন ১৩,১৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী পহেলগাঁও হামলায় ‘র’-এর জড়িত থাকার গোপন নথি ফাঁস চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন নিয়ে ইন্টারিম সরকারকে হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লাহর পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১১৩৭ ‘মানবিক করিডোরের’ সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান ‘জাতীয় স্বার্থে প্রস্তুত পাকিস্তান’—ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন সেনাপ্রধান বৈষম্যবিরোধী হয়ে থাকলে শ্রমিকের বেতন বাড়ান: ইউনূসকে সেলিম ‘দুর্দশায়’ ২৬ বাংলাদেশি, ‘ব্যবস্থার’ নির্দেশ ফিজি প্রধানমন্ত্রীর ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা: বিশেষ এলাকায় ‘কঠোর পদক্ষেপ’ ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে মে দিবস উত্তেজনা কমাতে একসঙ্গে কাজ করুন: ভারত-পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল পাকিস্তানে ভারতের সম্ভাব্য হামলার ধরন যেমন হতে পারে ঐকমত্য কমিশন যেন বিভাজনের কমিশন না হয় পোপ হতে চান ট্রাম্প অবশেষে সেই খনিজ চুক্তিতে সই করল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইন

ইসলাম

নবীগণের সর্দার মুহাম্মদ সাঃ এর সৌন্দর্যের পাঁচ বর্ণনা

 প্রকাশিত: ০৯:৩১, ১৩ জুলাই ২০২১

নবীগণের সর্দার মুহাম্মদ সাঃ এর সৌন্দর্যের পাঁচ বর্ণনা

আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন অতুলনীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যদিও তার কোনো ছবি সংরক্ষণ করা হয়নি বা এ ছবি সংরক্ষণকেও সাধারণভাবে তার প্রতি অসম্মানের বিষয় মনে করা হয়, তথাপি রাসূল (সা.) এর সৌন্দর্যের বিবরণ আমরা আল্লাহর রাসূলের সাহাবীদের বিবরণ থেকে জানতে পারি।

 

রাসূল (সা.) এর কবি সাহাবী হযরত হাসসান ইবনে সাবিত (রা.) রাসূল (সা.) এর সৌন্দর্য বর্ণনা করে এক কবিতায় লিখেছেন,

আমার চোখ দেখেনি কাউকে তোমার মত নিখুঁততর,

কোনো নারীর সন্তানই নয় তোমার থেকে সুন্দরতর;

তোমার সৃষ্টিতে নেই বিন্দুমাত্র ত্রুটি

যেনো তোমার ইচ্ছাতে তুমি হয়েছো সৃষ্টি।

 

এখানে রাসূল (সা.) এর সৌন্দর্য সম্পর্কে তার সাহাবীদের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে পাঁচটি বর্ণনা এখানে উল্লেখ করা হলো।

 

এক.
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেছেন,

“আল্লাহর রাসূল (সা.) এত পরিষ্কার, উজ্জ্বল, সুন্দর এবং সুদর্শন ছিলেন যে, তার শরীর যেনো রূপা দ্বারা মোড়ানো ছিল। তার চুল ছিল কিছুটা কোঁকড়ানো।” 

 

দুই.
হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেছেন,

“আমি একবার পূর্ণিমার রাতে রাসূল (সা.) এর সাথে ছিলাম। সে রাতে তিনি লাল ডোরাকাটা একটি কাপড় পরেছিলেন। আমি একবার পূর্ণিমার চাঁদের দিকে আবার রাসূল (সা.) এর দিকে তাকালাম। শেষপর্যন্ত আমি এ সিদ্ধান্তে পৌছলাম, পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও আল্লাহর রাসূল বেশি সুন্দর ও উজ্জ্বল।” 

 

তিন.
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেছেন,

“রাসূল (সা.) খুব লম্বাও ছিলেন না আবার খুব বেঁটেও ছিলেন না। বর্ণের দিক থেকে তিনি একদম সাদাও ছিলেন না, আবার একদম কালোও ছিলেন না বা বাদামীও ছিলেন না। (তিনি ছিলেন উজ্জ্বল, ১৪ তারিখের রাতের পূর্ণ চাঁদের থেকেও দীপ্তিমান।)

 

চার. 
হযরত বারা ইবনে আযিব (রা.) বলেন,

“আল্লাহর রাসূল (সা.) ছিলেন মধ্যম আকৃতির লোক (হালকা লম্বা); তার ছিল চওড়া কাঁধ, কানের লতি পর্যন্ত ঘন চুল; তিনি একটি লাল ডোরাকাটা কাপড় ও একটি চাদর পরতেন। আমি তারমত সুন্দর কাউকে বা কিছুই দেখিনি।”

 

পাঁচ.
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেছেন,

“আমি রাসূল (সা.) এর মত সুদর্শন কাউকে দেখিনি। যেনো সূর্যের উজ্জ্বলতা তার পবিত্র চেহারা থেকে বিচ্ছুরিত হয়। তার থেকে দ্রুত হাঁটতে আমি আর কাউকে দেখিনি, যেনো তার জন্য জমিনকে ভাঁজ করে দেওয়া হতো। কিছুক্ষণ আগেই হয়তো তিনি এখানে ছিলেন এবং পরমুহূর্তেই তিনি দূরে চলে গেছেন। তার সাথে হেঁটে তাল রাখা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যেতো।”

 

উপরের সকল বর্ণনাই জামে তিরমিজি থেকে নেওয়া হয়েছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল