রোববার ১১ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৮ ১৪৩২, ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

জাতীয়

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!

 প্রকাশিত: ১১:৩২, ২৫ মার্চ ২০২৩

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জেসমিন আক্তার ও প্রতিবন্ধী সন্তান ইয়াছিন ও স্বামী সুর্যলের লাশ উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির দুই বছরের শিশুকন্যা আইরিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে শিশুটি। তবে তার গলায় এখনো দেখা যাছে আঘাতের চিহ্ন।

 তবে এলাকাবাসী ও পুলিশ বলছে, সুর্যল নেশা করতেন। সেই সঙ্গে পরিবারে ছিল অভাব। তাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর আত্মহননের পথ বেছে নেন সুর্যল।

এদিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতেই তাদের দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ। একটি হত্যা এবং অপরটি অপমৃত্যু মামলা। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে চুনারুঘাটের গাদিশাল গ্রামে গাছে ঝুলানো অবস্থায় সুর্যলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের মরদেহ ঘরের খাটের নিচে এবং বড় ছেলের লাশ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। সুর্যল হকের বাকি তিন সন্তান বর্তমানে চাচার আশ্রয়ে রয়েছে।

এদিকে চুনারুঘাট ও মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, সুর্যল হক প্রায়ই নেশা করতেন

তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কারো প্ররোচনা রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া আসলে কিছুই বলা যাবে না। তবে সুর্যল যে তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন এটা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

চুনারুঘাট থানার ওসি মো. রাশেদুল হক জানান, পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। একটি হত্যা এবং অপরটি অপমৃত্যু মামলা।

নিহতের ভাই নুরুল হক জানান, তার ভাই নেশা করতেন। তার স্ত্রীকে মারধরও করতেন। এর আগেও তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।

আত্মহননকারী সুর্যল হকের বেঁচে থাকা দ্বিতীয় ছেলে জিহান মিয়া জানায়, তার মাকে হত্যা করার আগে সুর্যল হক সিগারেটের সঙ্গে কিছু একটা খেয়েছেন। তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন।