চাঁদ ও মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর জন্য বাজেট বাড়াবে ট্রাম্প, নাসার অন্যান্য প্রকল্পে কাটছাঁট

নাসার বাজেটে বড় পরিবর্তন: চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে অগ্রাধিকার, অন্যান্য প্রকল্পে কাটছাঁট
চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে মনোযোগ দেয়ার জন্য নাসার বাজেটে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই পরিবর্তনের আওতায়, নভোচারী পাঠানোর উদ্দেশ্যে গবেষণা ও কর্মসূচির বাজেট বৃদ্ধি করা হলেও, কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাটছাঁট করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত বাজেটে নাসার জন্য বরাদ্দ প্রায় এক চতুর্থাংশ কমানো হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, এই বাজেটে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেট এবং ওরিয়ন ক্যাপসুল ধাপে ধাপে বন্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া, চাঁদের কক্ষপথে পরিকল্পিত গেটওয়ে মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সাথে যৌথভাবে পরিচালিত মার্স স্যাম্পল রিটার্ন মিশন বাতিল করা হচ্ছে।
নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই প্রস্তাব চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে একযোগে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণাকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
বাজেটে মঙ্গল অভিযানের জন্য অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে, এবং চন্দ্রাভিযানের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তবে, জলবায়ু পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য ‘কম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত’ প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রস্তাবটি ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছে। প্ল্যানেটারি সোসাইটি বলেছে, ‘এটি নাসারের ইতিহাসে এক বছরে সবচেয়ে বড় বাজেট কাটছাঁট প্রস্তাব।’ তারা আরও বলেন, ‘এ ধরনের বাজেট ছাঁটাই নাসারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে না, বরং বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে এবং মার্কিন নেতৃত্বকে দুর্বল করবে।’
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন চীনের আগেই চাঁদে ফিরে যাওয়ার এবং প্রথম মানবকে মঙ্গলে পাঠানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, যেখানে চীন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।