ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা

গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি পতাকা। ছবি: রয়টার্স।
গাজা সিটি দখলের ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন দেশের নেতারা এই পদক্ষেপকে বিপজ্জনক, বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন এবং তা বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোনে জানান, ফিলিস্তিনিদেরকে নিজভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তিনি “স্পষ্টতই বিরোধিতা” করেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসরায়েলকে “অবিলম্বে এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধের” আহ্বান জানিয়েছে।
পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিকল্পনাটিকে “স্থগিত” করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি “যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে এবং মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত করবে।”
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের সেই নীতিরই আরও সম্প্রসারণ—যেখানে “ক্ষুধা ও অবরোধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার” করা হয় এবং হাসপাতাল ও স্কুলসহ বেসামরিক অবকাঠামোকে “ধারাবাহিকভাবে টার্গেট” করা হয়।
মালদ্বীপ সরকার ইসরায়েলের পদক্ষেপকে “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, গাজায় দখল প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিনি প্রশাসন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা “তাদের (ফিলিস্তিন) আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত” এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে গাজা সিটি দখলের পথে না হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়বে, পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদের স্থায়ীভাবে উৎখাতের যে কোনও পদক্ষেপ হবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
জাতিসংঘও সতর্ক করে বলেছে, গাজা সিটি দখলের ইসরায়েলের পদক্ষেপ “বিপর্যয়কর পরিণতি” বয়ে আনতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন বলেছেন, ইসরায়েল সরকারের এই সিদ্ধান্ত “পুনর্বিবেচনা করা উচিত” এবং “এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।”
যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইসরায়েলের পদক্ষেপকে ‘অন্যায়’ বলেছেন। তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপে কেবল ‘রক্তপাতই বাড়বে’।