বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট ২০২৫, শ্রাবণ ২৯ ১৪৩২, ১৯ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

গোলাগুলির দিনে ‘হিন্দিতে নির্দেশ’—সাক্ষ্যে উঠে এলো নতুন প্রশ্ন

 প্রকাশিত: ২১:৫১, ১৩ আগস্ট ২০২৫

গোলাগুলির দিনে ‘হিন্দিতে নির্দেশ’—সাক্ষ্যে উঠে এলো নতুন প্রশ্ন

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ চলাকালে পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তিকে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) দেওয়া এক সাক্ষ্যে দাবি করেছেন শহীদ আহমেদ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী। এ সময় পুলিশের গুলিতে তার ভাতিজা মো. ইয়াকুব নিহত হন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে মোট তিনজন সাক্ষ্য দেন। এদের মধ্যে ছিলেন নিহত ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার এবং শহীদ আহমেদ। ইয়াকুব নিউমার্কেট এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি ম্যান ছিলেন এবং নাজিমুদ্দিন রোডের শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে মিলি গলিতে বসবাস করতেন।

সাক্ষ্য প্রদানকারী শহীদ বলেন, ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে তিনি চানখারপুল এলাকায় ছিলেন এবং অনেক পুলিশ সদস্যকে গুলি ছুঁড়তে দেখেন। এ সময় পুলিশের পোশাক পরা কিছু ব্যক্তিকে ‘হিন্দি ভাষায়’ কথা বলতে শোনেন, বিশেষ করে “ইধার আও” শব্দটি উল্লেখ করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর তিনি তার গুলিবিদ্ধ ভাতিজা ইয়াকুবকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই মামলায় সেদিন গুলিতে নিহত আরেকজন, ইসমামুল হকের (১৭) ভাই মো. মহিবুল হকও ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, “একজন সাক্ষী সরাসরি বলেছেন, যারা গুলি করছিল, তারা হিন্দিতে কথা বলছিল। ‘ইধার আও’ শব্দটি তিনি শুনেছেন। এই বক্তব্য ডিফেন্স চ্যালেঞ্জ করেছে, কিন্তু সাক্ষী দৃঢ়ভাবে তার বক্তব্যে অটল ছিলেন।” তিনি আরও জানান, চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যের সময় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এদিকে, আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর একটি মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২১ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা, সে বিষয়ে আদেশ দেবে ট্রাইব্যুনাল-২।