বুধবার ২০ আগস্ট ২০২৫, ভাদ্র ৫ ১৪৩২, ২৫ সফর ১৪৪৭

রাজনীতি

সংবিধান দিয়ে ঠেকানো যায় না ফ্যাসিবাদ : তারেক রহমান

 প্রকাশিত: ২০:৫৭, ১৯ আগস্ট ২০২৫

সংবিধান দিয়ে ঠেকানো যায় না ফ্যাসিবাদ : তারেক রহমান

স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: ফেসবুক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শুধুমাত্র সংবিধান কিংবা লিখিত বিধি-বিধানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো সম্ভব নয়। ফ্যাসিবাদ রুখতে হলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের যে চর্চা, তার মাধ্যমেই রাষ্ট্র ও জনগণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। জনগণ যদি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হয়, তাহলে রাষ্ট্র ও সরকার শক্তিশালী হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “নানারকম শর্ত ও বাধা আরোপ করে যদি জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, তবে গণতন্ত্রের উত্তরণ সংকটে পড়বে।”

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ দূর করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “একাত্তর ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, আর চব্বিশ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ইতিহাসের এক নৃশংস ফ্যাসিস্টের পদত্যাগ ও পলায়নের পর আজ যদি গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো নিজেদের মধ্যে অহেতুক ইস্যু নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননার শামিল।”

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক, ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা সম্ভব, আর সেটিই এখন সময়ের দাবি।”

কথার রাজনীতির পরিবর্তে কাজের রাজনীতিতে মনোনিবেশের উপর গুরুত্ব দিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।”

এছাড়াও, দলের নেতাকর্মীদের এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন, যা জনমনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি করতে পারে।