বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের কারণে কারণ দর্শানোর নোটিস

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে দলটি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে জানানো হয়, বিশেষ বার্তা প্রেরকের মাধ্যমে ঢাকায় ফজলুর রহমানের ঠিকানায় এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিসে বলা হয়, ফজলুর রহমান জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। এতে শহীদদের আত্মত্যাগকে অবমাননা করা হয়েছে, যা দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। এছাড়া তার বক্তব্যে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
নোটিসে আরও উল্লেখ করা হয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপির সাড়ে চারশোর বেশি নেতাকর্মীসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে ফজলুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টকশোতে ধারাবাহিকভাবে অপমানজনক মন্তব্য করে যাচ্ছেন।
এর আগে ফজলুর রহমান দাবি করেছিলেন, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পেছনে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মূল ভূমিকা ছিল। তিনি আন্দোলনকারীদের ‘অভিনেতা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
তার এসব বক্তব্য দলের ভেতরেও তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নোটিসে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফজলুর রহমানের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।