মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট ২০২৫, ভাদ্র ১০ ১৪৩২, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে দেশে ফিরতে প্রস্তুত: খলিলুর রহমান

 আপডেট: ২১:৫২, ২৫ আগস্ট ২০২৫

রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে দেশে ফিরতে প্রস্তুত: খলিলুর রহমান

রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে স্বদেশে ফিরে যেতে প্রস্তুত। সোমবার কক্সবাজারে আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংলাপের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সংলাপের প্রথম দিনে রোহিঙ্গারা নিজেদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও প্রত্যাশা সরাসরি প্রকাশ করেছেন। এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ প্রথমবারের মতো তারা একই মঞ্চে বসে তাদের কণ্ঠস্বর বিশ্বকে শোনাতে সক্ষম হয়েছেন।

ড. খলিলুর রহমান জানান, এ সংলাপ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য আসন্ন ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জন্য যৌথ প্রস্তাবনা তৈরি করা।
তিনি সংলাপের ছয়টি প্রধান দিক তুলে ধরেন:
১. রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দেওয়া ও সমাধানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২. সম্মানজনক, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের পথ তৈরি করা।
৩. খাদ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ মানবিক সহায়তার অনিশ্চয়তা কমানো।
৪. সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন।
৫. মিয়ানমারের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসন করে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
৬. রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের পূর্ণ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে সংকট মোকাবেলায় কাজ করছে এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আন্তর্জাতিক অংশীদাররা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। “আমরা আশা করি জাতিসংঘ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবসম্মত সমাধান গঠনে ভূমিকা রাখবে,” যোগ করেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি উইংয়ের মহাপরিচালক শাহ আসিফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষজ্ঞ ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। সংলাপ আগামীকাল শেষ হবে।