বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩২, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

খালেদা জিয়া-তারেককে নিয়ে এভারকেয়ারের সামনে গুজবের ছড়াছড়ি তারেক এখনও ট্রাভেল পাস চাননি, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ৩৮ টাকা ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট টঙ্গীতে দোয়া-মোনাজাতে শেষ হলো পাঁচ দিনের ‘জোড় ইজতেমা’ খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এভারকেয়ারে এসএসএফ খালেদা জিয়ার ‘ভিভিআইপি মর্যাদা’ কার্যকরের নির্দেশ সরকারের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজবে কান দেবেন না: ডা. জাহিদ ভোটের প্রস্তুতিতে ‘সন্তুষ্ট’ ইইউ, পর্যবেক্ষণে থাকবে বড় দল: রাষ্ট্রদূত মিলার প্রগতি সরণি আটকে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ শ্রীলঙ্কায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১০ জন ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে ‘খুবই আশাবাদী’ হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি চমৎকার : চিকিৎসক দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন হিলি দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ মাদুরোর ‘অনেক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন’ ট্রাম্প বন্যা কেড়ে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ না করতে ইসরাইলকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

মতামত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিক স্বাধীনতার পরিপন্থী

 আপডেট: ২০:৪৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিক স্বাধীনতার পরিপন্থী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই আইনটিতে কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেছে।

তবে তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা। তাদের মতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থী। এটা মতপ্রকাশ বা বাকস্বাধীনতা খর্ব করছে এবং গণমাধ্যমের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এ আইন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বিধায় অবিলম্বে তা বাতিল করা প্রয়োজন। আইনজ্ঞরা বলেন, এই আইনের একমাত্র উদ্দেশ্য মতপ্রকাশ বা বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা। এ আইনে অভিযোগ এলেই পুলিশ মামলা নিয়ে সাথে সাথেই অভিযুক্তকে আটক করছে। এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে।

আইনবিদরা আরো বলেন, ভাবমূর্তি হানি বা ক্ষুণ্ণ করা বা অপমান করার জন্য দুনিয়ার কোথাও আইন নেই। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার কারণে অপরাধ হয়, এটা নাই। এটা গণতান্ত্রিক পৃথিবীতে নেই। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৯ ও ৩০ এই পাঁচটি ধারা অবিলম্বে বিলোপ করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সেই আইনে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া সংক্রান্ত ধারা থাকতে পারে না। তা হলে সেই আইনের অপপ্রয়োগ বা অপব্যবহার হতে বাধ্য।

 

এ বিষয়ে প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন এখন থেকে তদন্ত করে ডিজিটাল আইনে মামলা করা হবে। এতদিন ধরে ডিজিটাল আইনে ঢালাওভাবে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এমনকি এই আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন, তার দায়ভার কে নেবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থী। গণমাধ্যমের হুমকিস্বরূপ। তাই আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বিধায় অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। রাজপথে এই আইন বাতিলের জন্য যারা দাবি জানাচ্ছেন তাদেরকে সমর্থন জানাচ্ছি।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, আইন তো জনগণের জন্যই। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে। সংশোধন প্রয়োজন। এমনভাবে এই পরিবর্তন আনতে হবে যাতে রাষ্ট্রের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা যায়। কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করা হয় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল