বুধবার ১২ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৮ ১৪৩২, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

চীন সফরে স্পেনের রাজা ফিলিপ বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার ‘দায়বদ্ধতা’ রয়েছে : ট্রাম্প নতুন নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত অস্ট্রেলিয়া-ইন্দোনেশিয়া মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের মধ্যে ইরাকে ভোটগ্রহণ শপথ নিলেন ২২ বিচারপতি কেরাণীগঞ্জে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ রমনা থানার সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন, উত্তরায় মাইক্রোবাসে এবার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে পেট্রোলবোমা গাজীপুরে তিন বাসে আগুন ঢাবির পাঁচ ভবনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তালা ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ কর্মকর্তা মাদারীপুরে উদ্ধার আশুলিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

মতামত

৩০০ আসন ভাগাভাগি হয়ে গেলে আর নির্বাচনের দরকার কী!

 প্রকাশিত: ১৬:২০, ১২ নভেম্বর ২০২৫

৩০০ আসন ভাগাভাগি হয়ে গেলে আর নির্বাচনের দরকার কী!

বর্তমানে বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। শোনা যাচ্ছে আরেক বৃহৎ দল জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সাথে নির্বাচনি আসন নিয়ে কথা বলছে। যেহেতু তারা বিরোধী আসনে বসতে চান না, তাহলে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। আরও একটি নতুন এবং আলোচিত দলও বিএনপির সাথে আসন নিয়ে কথা বলছে। আর জমিয়তের বিষয়টি তো চাউর আছেই। যদিও এই সুরে সংসদীয় আসন নিয়ে জামায়াতের হতাশার আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তথাপি তাদের কিছু আসন আছে যেগুলোতে তারা জিতবেন। কিন্তু আসন সংখ্যা ভারী করতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে তাদের সঙ্গীদের হালত কী হবে বলতে পারবো না।

যদি বিএনপি ২০০ আসন তাদের হাতে রাখে এবং জামায়াতকে ৫০টি, নতুন দলকে বিশটা এবং নিবন্ধিত অন্যান্য দলকে কমপক্ষে একটা করে দিয়ে দেয়, এভাবে ৩০০ আসন ভাগাভাগি হয়ে গেলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে, মারামারির ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন করার দরকার কী? সকল দল একটা কাগজে সই করে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিলেই হলো যে, আমরা ঐকমত্যে পৌঁছে গেছি, আমাদের গেজেট প্রকাশ করুন এবং শপথের ব্যবস্থা নিন।

এভাবে ঐকমত্যের কমিশন, ঐকমত্যের সংস্কার, ঐকমত্যের সংসদ এবং ঐকমত্যের সরকার গঠন হলে বিশ্ব আমাদের সৃজনশীলতা দেখবে। হয়তো আমরা সবার কাছে অনুকরণীয় হয়ে যেতে পারি।

এমতাবস্থায় জমিয়ত পাঁচ সাতটা আসনের প্রত্যাশা না করে জামায়াত জোটের বাকিদের নিয়ে কথিত ইসলামি স্রোত তৈরি করতে পারে। শায়খুল হাদীস ওবায়দুল্লাহ্ ফারুক, পীর সাহেব চরমোনাই ও মাওলানা মামুনুল হক এক মঞ্চে উঠে প্রচারণা শুরু করলে দেশে আবার নুতন সুর উঠতে পারে। ভেজাল ইসলাম ও ভেজাল রাজনীতি থেকেও জাতি মুক্তি পেতে পারে। আমাদের পজিশনের নয়, অপজিশনের আসনে বসতে অসুবিধা কী? এতে আমাদের একটা স্বকীয়তা ফুটে উঠতে পারে।