সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সংস্কৃতি

আজ মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

 প্রকাশিত: ১৭:১৫, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

আজ মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, ১৭ নভেম্বর। ১৯৭৬ সালের এ দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সন্তোষে তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে পরিবার, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সেখানে চলছে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’।

গতকাল রবিবার দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মওলানা ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “ভাসানী সব সময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।” তিনি উল্লেখ করেন, অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে ভাসানীর ভূমিকা জাতিকে অনুপ্রাণিত করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন শোষিত, বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষার এক বলিষ্ঠ নেতা। ব্যক্তিজীবনে নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও সাদাসিধে জীবনযাপন তাঁর দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণমুক্ত, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের সয়াধানগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া আবদুল হামিদ খান ছিলেন হাজী শরাফত আলী ও মজিরন বিবির ছোট সন্তান। ছোটবেলায় তাঁকে ‘চেগা মিয়া’ নামে ডাকা হতো। জীবনের বড় অংশ তিনি কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ বহু গণ-আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ১৯৫৭ সালের ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তাঁর সর্বশেষ বৃহৎ গণ-আন্দোলন ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।

আজ সকালে তাঁর মাজারে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক–সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো–এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার নির্যাতিত–নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ ও অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব আজও মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস।