সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার: প্রধান উপদেষ্টা

 প্রকাশিত: ১৫:০৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী নির্বাচন ও গণভোটে শতভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এবারের নির্বাচন গতানুগতিক কোনো নির্বাচন নয়; বরং এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন।

সোমবার রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ৫০ জেলায় দায়িত্ব দেওয়া নতুনদেরসহ ৬৪ ডিসিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া নির্বাচনকে শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের নির্বাচন নয় মন্তব করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

“এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন। জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।

“এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন; এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য নির্ধারিত হবে শতাব্দীর গতিপথ।”

এ নির্বাচনে ডিসিদের ভূমিকা - যারা রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন - অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। এ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়।

“আপনাদের যা যা জানা প্রয়োজন সব জেনে নেবেন। নির্বাচনকে একই সঙ্গে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।”

গত ১৫ বছর বিপুল সংখ্যক তরুণ ও নারী ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি, বিষয়টি স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তারা দেখতে চান কেমন নির্বাচন হচ্ছে, এটা নিয়ে তাদের গভীর আগ্রহ।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এই নির্বাচনকে স্বার্থক করা গণঅভ্যুত্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই নির্বাচন একটি বিরাট অভিযান, এ অভিযানে আমাদের জিততেই হবে।

“স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের ডিসি শরীফা হক এবং বগুড়ার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমান।