শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আল-বুখারী সম্পর্কে কিছু কথা

 প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ৬ জুলাই ২০২১

আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আল-বুখারী সম্পর্কে কিছু কথা

প্রায় সব মুসলমানের কাছেই সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাদীস সংগ্রহকারী হিসেবে ইমাম বুখারীর নাম খুবই পরিচিত। তিনি ছয় লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করেছিলেন কিন্তু এর মধ্যে থেকে মাত্র ৭২০০টি হাদীস তিনি বুখারী শরীফে স্থান দিয়েছেন। 

রাসূল (সা) এর কাজ, অভ্যাস, কথা এবং বিভিন্ন ঘটনার সংকলনে পূর্ণ তার এই হাদীস গ্রন্থটি রাসূলের (সা) জীবন সম্পর্কে জানার এক অনুপম মাধ্যম। 

ইমাম বুখারীর শৈশব
ইমাম বুখারীর পূর্ণ নাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আল-বুখারী। ১৯৪ হিজরীতে তিনি বুখারা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায়ই তার বাবা মারা যান। তার মা তাকে একাই বড় করেন। 

 তিনি তার বুদ্ধিদীপ্ত ছেলের শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। ইমাম বুখারী ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, তার মুখস্ত ক্ষমতা ছিল প্রখর। তিনি যেকোনো বিষয় খুব দ্রুতই শিখতে পারতেন। 

 তার চোখে এক ধরনের রোগ হয়েছিল এবং ধারণা করা হয়েছিল তিনি আর কখনোই দেখতে পাবেন না। কিন্তু তাড়াতাড়িই তিনি এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। 

 
যৌবনকাল 
বাল্যকালেই ইমাম বুখারী সম্পূর্ণ কুরআন হিফজ করেন। তরুণ বয়সে তিনি হাজারেরও বেশি হাদীস মুখস্ত করেন। সেই সাথে তিনি বিখ্যাত আলেমদের কাছে শিক্ষা নিতে যেতেন। 

 মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি হজ্ব করেন। তখন তিনি তার মা এবং ভাইয়ের সাথে মক্কায় গিয়েছিলেন। এরপর তিনি ইসলাম সম্পর্কে আরও জ্ঞানার্জনের জন্য সেখানেই থেকে যান। 

হাদীস সংগ্রহের যাত্রা
মক্কায় থাকতে শুরু করার পর তিনি হাদীস সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন। এই হাদীস সংগ্রহ করার জন্য তিনি ছয় বছর মক্কায় অবস্থান করেন। 

এর পর বিভিন্ন কারণে তিনি অসংখ্য দেশ ভ্রমণ করেন। বাগদাদ, কুফা, দামেস্ক, মিশর, খোরাসান সহ আরও অনেক জায়গায় তিনি গিয়েছিলেন। 

 তিনি প্রথমে আল্লাহর রাসূলের (সা) জীবন সম্পর্কে অধ্যয়ন করেন এবং এরপর হাদীসের সন্ধানে বের হন। তিনি নিষ্ঠার সাথে তার সবটুকু সময়, প্রচেষ্টা এই কাজে ব্যয় করেন। সত্যিকার অর্থেই এটি ছিল খুব কঠিন একটি কাজ কিন্তু প্রবল ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে তিনি এটি সম্ভব করেন। 

ইমাম বুখারীর সংগৃহীত হাদীস কেন সবচেয়ে বিশুদ্ধ? 
তিনি হাদীস লেখার ক্ষেত্রে এমন একটি পন্থা অবলম্বন করেছিলেন যাতে কারোর মনেই এই হাদীসগুলোর ব্যাপারে কোনো রকম সন্দেহ না থাকে। 

বর্ণনায় এসেছে, তিনি প্রতিটি হাদীস লেখার পূর্বে ওযু করে দুই রাকাআত সালাত আদায় করে নিতেন। 

 তিনি এমন হাদীস বাছাই করতেন যেগুলোর বর্ণনাকারীগণ ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য, নীতিবান এবং সৎ। সেই সাথে হাদীসের প্রেক্ষাপটও  যাচাই করে নিতেন। 

 এত কিছুর পরেই তিনি একটি হাদীস লিপিবদ্ধ করতেন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: