সোমবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৪ ১৪৩২, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি : ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি, ‘চূড়ান্ত হচ্ছে’ অধ্যাদেশ মাগুরায় সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু, ফের সংঘাতে আহত ৫০ ভোট: এবার নিবন্ধন পেল ৮১ স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ক্ষমতায় যাওয়ার অপেক্ষায় জামায়াত, বললেন পরওয়ার কারাগারে শওকত মাহমুদ, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার বিটিভি-বেতারে সিইসির তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা আরো পেছাল মহানবীকে কটূক্তি: তিতুমীরের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ রিমান্ডে উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রিমান্ডে দিলে হার্ট অ্যাটাক করতে পারি: আদালতকে নাসার নজরুল আনিসুল-মঞ্জুর নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় গৃহকর্মী, ধারণা পুলিশের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির ভারতের গোয়া নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের মধ্যে নেপালি ৪ জন নিউইয়র্কে ইসরাইল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

জাতীয়

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির প্রস্তাবে আইনজীবীদের তীব্র বিরোধিতা

 প্রকাশিত: ২১:২৮, ৮ মে ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির প্রস্তাবে আইনজীবীদের তীব্র বিরোধিতা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এর যথাযথ সংস্কারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএলএ) এবং ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি এই দাবি তুলে ধরে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার প্রধান সংস্থা হিসেবে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ থেকে শুরু করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকায়, যেখানে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১৪ শতাংশ।

তবে সাম্প্রতিক একটি খসড়া অধ্যাদেশে এনবিআর বিলুপ্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। অধ্যাদেশের ধারা ১৩ উপধারা (১) অনুযায়ী, এটি কার্যকর হলে ১৯৭২ সালের ‘প্রেসিডেন্ট’স অর্ডার নম্বর ৭৬’ রহিত হবে এবং এনবিআর বিলুপ্ত হবে।

এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে কর আইনজীবীরা বলেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তি নয়, বরং প্রয়োজন যথাযথ সংস্কার। রাজস্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান অংশীজন হিসেবে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা মতামত গ্রহণ ছাড়াই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক ও দুরভিসন্ধিমূলক।”

তারা আরও বলেন, “জাতি জানতে চায়, কোন স্বার্থে এই খসড়া অধ্যাদেশটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কোনো ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান নয় বরং এটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি।”

কর আইনজীবীদের মতে, এনবিআরকে বিলুপ্ত না করে বরং আয়কর নীতি বিভাগকে শক্তিশালীকরণ, টেকসই রাজস্বনীতি প্রণয়ন, আইনি সংস্কার, আধুনিকায়ন ও অটোমেশনসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করাই সময়ের দাবি।

তারা অবিলম্বে এই বিতর্কিত অধ্যাদেশ বাতিল করে রাজস্ব ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।