শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

অর্থনীতি

চালের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা বৃদ্ধি, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

 প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ১৪ মার্চ ২০২৫

চালের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা বৃদ্ধি, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

চালের দাম বৃদ্ধি

পবিত্র রমজানে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলেও চালের দাম বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, সরু মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৮০-৯০ টাকা, মাঝারি চাল ৭০-৭৬ টাকা, আর মোটা চাল ৫৮-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে তিন দফায় চালের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরু মিনিকেট চালের বস্তায় ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভালো মানের চাল ৮০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না, জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর দাম ৯০-৯২ টাকায় পৌঁছেছে। মোটা চালের ক্ষেত্রেও দাম কমেনি, ভালোমানের মোটা সেদ্ধ চাল ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। ক্রেতা হাফিজ উদ্দিন বলেন, "রমজানে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও চালের দাম বেশি থাকায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না।"

সয়াবিন তেলের সংকট কাটতে শুরু করেছে। খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বোতলজাত তেলের সরবরাহ কিছুটা কম। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম রয়েছে।

সবজির বাজার তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক। লেবু, শসা, বেগুনের মতো চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম কমেছে। বেগুন আগে ৮০-১০০ টাকা কেজি থাকলেও এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি।

অন্য সবজির বাজারও তুলনামূলক স্থিতিশীল। তবে উচ্ছে ও ঢেঁড়সের দাম এখনো কিছুটা বেশি, যথাক্রমে ৬০-৮০ এবং ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত বছর ব্যাপক দাম বাড়লেও এবার দেশি পেঁয়াজ ৩৬-৪৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছর ১১০-১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে, বর্তমানে ২০-২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

চিনি, খেজুর, ডালসহ অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। রোজার আগে বাজারে যে অস্থিরতা দেখা যেত, এবার তা হয়নি। মোটাদাগে, রমজানে অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চালের দাম ক্রেতাদের জন্য বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।