বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৯ ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ইসরাইলের মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচক ডারমার লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা ২০২৫ সালে রেকর্ড ছাড়াবে জীবাশ্ম জ্বালানির নিঃসরণ : গবেষণা ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও সুদানে উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানালো জি-৭ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর, আগুন আগাম পোস্টার সরিয়ে ফেলুন, দলগুলোকে সিইসি পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দৃষ্টান্তমূলক রায়ে হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির আশা চিফ প্রসিকিউটরের ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালসহ নগরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগ ঘোষিত ‘লকডাউন’ ঘিরে চাপা আতঙ্ক সারাদেশে সাত ঘন্টায় ৭ গাড়িতে আগুন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় টায়ার জ্বালিয়ে-গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক

জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আজ থেকে অ্যাকশন: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

 আপডেট: ১৭:৩২, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আজ থেকে অ্যাকশন: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

শ্রমিক অসন্তোষের পরিস্থিতি কতদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে প্রশ্নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আজকে থেকে অ্যাকশন শুরু হবে। সেখানে ক্ষতি হয় এমন কোনো অ্যাকশন পুলিশ নেবে না।

রাস্তাগুলো খালি করার জন্য যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে। ‌যারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। একইসঙ্গে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে আলোচনা করা হবে। আমি তো একদিনে বসে শ্রম আইন ঠিক করে দিতে পারব না।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যে তথ্য রয়েছে, সেটার ভিত্তিতে তাদেরকে (ইন্ধনদাতাদের) গ্রেপ্তার করা হবে। সেখানে যে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, সেটার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।  

তিনি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে আমরা মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে একাধিক সভা করেছি। আমাদের শিল্প উপদেষ্টা তিনিও কথা বলছেন। সব শ্রমিক নেতাদের কাছ থেকে আমরা এটাই জানতে পেরেছি, এখন যে আন্দোলনগুলো হচ্ছে, শ্রমিক নেতারা এই আন্দোলনের প্রকৃতিটা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারছেন না। ‌ কারণ, এখানে কোনো নির্দিষ্ট দাবি উঠে আসছে না। কোনো নির্দিষ্ট দফা পাওয়া যাচ্ছে না।

উপদেষ্টা বলেন, যারা সাধারণত শ্রমিক আন্দোলনগুলো করে থাকেন, তারাও সেখানে সেভাবে সক্রিয় নেই। বহিরাগত লোকজনের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মালিকপক্ষ বেতন দিতে দেরি করছেন, এজন্য আন্দোলন হচ্ছে। কয়েকটি স্পেসিফিক ফ্যাক্টরি আছে সেখানে মালিকপক্ষ পালিয়ে গেছেন। সেখানে কিছুটা অসন্তোষ হয়েছে। সেগুলো আমরা অ্যাড্রেস করছি, সেগুলোর জন্য সরকার সফ্ট লোন ঘোষণা দিয়েছে। সেটার পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে।  

আসিফ মাহমুদ বলেন, তবে এই ছোট ছোট কয়েকটি সুনির্দিষ্ট জায়গার অসন্তোষকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু ফ্যাক্টরি ক্লাস্টার আছে, সেখানে দেখা গেছে বহিরাগতরা এসেছে এবং বেকার যুব সংঘ নামে যারা কখনও শ্রম এরিয়ার মধ্যে আন্দোলন করেনি, এমন সব জায়গায় গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, ‌শ্রমিকনেতারাই আমাকে বললেন যে, তারা সেখানে হেঁটে এসেছেন এবং তারা দেখেছেন যে হেলমেট ও হাফপ্যান্ট পরা যারা টোকাই, বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য টাকা দিয়ে যাদের ভাড়া করা হয়,  তাদেরকে সেখানে দেখা গেছে।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমরা শ্রমিকনেতাদের বলেছি, আপনাদের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে আলোচনা করতে হবে। আমি তো একদিনে বসে শ্রম আইন ঠিক করে দিতে পারব না। তারা বলেছেন শ্রমিকদের তারা বোঝাবেন তাদের জায়গা থেকে। যারা বহিরাগত আছেন যাদের শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, শিল্পের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, তারা তাদেরকে আলাদা করবেন।  

তিনি বলেন, যারা ঝুট ব্যবসা নিয়ে সন্ত্রাস করছে, আওয়ামী লীগের লোকেরা যে সিন্ডিকেটগুলো সামলাতো তারা তো সেগুলো ছেড়ে চলে গেছে। এখন যারা সেগুলো দখলের পাঁয়তারা করছে এবং সেখানে সন্ত্রাস করছে, তাদেরকে এবং যারা বহিরাগত আছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে সেটা গতকাল বলেছি।  

উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগও আছে কিছু জায়গায়। কিছু স্থানীয় বিএনপি নেতারাও রয়েছেন বলে আমরা সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সঙ্গে আমাদের এ বিষয়ে কথা হচ্ছে তারা যাতে তাদেরকে নিভৃত রাখেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী যে সব আওয়ামী লীগ নেতা এখনো রয়ে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।

আজকের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে মনে করছেন জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, যেসব শ্রমিক আন্দোলন করছেন তাদেরকে বোঝাবেন তারা। তাদের সমস্যার সমাধানে আমরা আরও বৈঠক করবো। সমস্যার সমাধানে মালিক এবং শ্রমিকপক্ষ মিলে এগিয়ে যাব।