শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৬ ১৪৩২, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

কবি নজরুলের পাশে শায়িত হাদি প্রিয় হাদি, তুমি থাকবে প্রতিটি বাংলাদেশির বুকের মধ্যে: প্রধান উপদেষ্টা লাখো জনতার অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন এ কে খন্দকার ছিলেন ‘অবিস্মরণীয় সৈনিক’: শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা সুদানে নিহত ছয় সেনা সদস্যের মরদেহ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের উপ সেনাপতি এ কে খন্দকারের প্রয়াণ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বসতঘরে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ, শিশুর মৃত্যু সহিংসতার পোস্ট: অভিযোগ করার আহ্বান সুরক্ষা এজেন্সির দিপু দাসকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন ফ্লোর ইনচার্জ: র‌্যাব ‘ধর্ম অবমাননা’: ময়মনসিংহে শ্রমিক পিটিয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার ৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫ মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও প্রবাসী দিবস উদযাপন সিরিয়ায় ৭০টিরও বেশি আইএস লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন হামলা

ফিচার

ট্রাফিক জ্যামে বসে থেকে বিরক্ত হয়ে কুমিরে ভরা নদীতে ঝাঁপ!

 প্রকাশিত: ০৯:৫২, ১৬ জুলাই ২০২১

ট্রাফিক জ্যামে বসে থেকে বিরক্ত হয়ে কুমিরে ভরা নদীতে ঝাঁপ!

কিছু কিছু সময় আছে যে বিরক্তকর কিন্তু কিছুই করার থাকেনা। ঠিক যেমন যানজটে বসে থাকতে কারই ভালো লাগে না? কিন্তু ভালো না লাগলেও বসে থাকা ছাড়া তো আর উপায় নেই। চাইলেই গাড়ি নিয়ে উড়ে চলে যাওয়া যায় না কিংবা গাড়ি রেখে হাঁটা দেওয়া যায় না।

যানজটে বিরক্ত হলেও বসেই থাকতে বাধ্য হন গাড়ির চালক আর যাত্রীরা। তবে যানজটে বিরক্ত হয়ে কুমিরে ভরা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার নজির বোধহয় খুব বেশি নেই।
 এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার বাসিন্দা জিমি ইভান জেনিংস নামের ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানজটে আটকে ছিলেন। এ সময় যানজটে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পাশের নদীতে সাঁতার কাটার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ভাবেন কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে আবার গাড়িতে ফিরে আসবেন।
কিন্তু নদীতে ঝাঁপ দিতেই বাঁধে বিপত্তি। নদীটিতে যে কুমির আছে তা তিনি জানতেন না। তবে কুমির আক্রমণ না করলেও ঝাঁপ দেওয়ার সাথে সাথে তলিয়ে যেতে থাকেন তিনি। কোনোক্রমে ভেসে উঠে সাঁতার কেটে তীরে আসার চেষ্টা করেন।

নিজের ফেসবুকে ওই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জিমি লিখেছেন, আমার জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছিলাম। সবকিছু আমার মনের মতোই চলছিল। আমি অনেককে আগেও নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখেছি। তবে ঝাঁপ দেওয়ার পর মনে পড়েছিল এসব কেবল সিনেমাতেই দেখা যায়।
তিনি লিখেছেন, ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়ামাত্র আমার মুখে পানি ঢুকে যায়। আমি বাম হাতে ব্যথা পাই। সাঁতার কেটে তীরে আসার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু স্রোত অনেক তীব্র ছিল। দেড়ঘণ্টা পর আমি ক্লান্ত হয়ে যাই। আমার বাম হাত আসাড় হয়ে যায়। ডান হাত আর পা দিয়ে ভেসে ছিলাম। পুরোটা সময় জুড়েই প্রার্থনা করছিলাম। তবে শেষমেষ কোনরকমে তীরে এসে পৌঁছাতে সক্ষম হই।
তবে এভাবে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলার অপরাধে হাতে হাতকড়া উঠেছে তার। পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে।

 অন্য দিকে, এভাবে সাঁতার কাটার শখ একেবারেই ঘুচে গেছে জিমির। আর জীবনেরও সাঁতার কাটবেন না বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল